Katrina Kaif: রশ্মিকার পর ক্যাটরিনা, 'ডিপফেক' ছবি ভাইরাল হল পর্দার জোয়ার
Deepfake Image: 'ডিপফেক এআই টেকনোলজি' হচ্ছে এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যার সাহায্যে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর, ডিজিট্যাল কনটেন্ট তৈরি করা যায়।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মন্দানার (Rashmika Mandanna) ভাইরাল 'ডিপফেক' ভিডিও (Deepfake Video) নিয়ে যখন তোলপাড় চারিদিক, তারই মাঝে একই সমস্যার সম্মুখীন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)। দিন দুয়েকের ব্যবধানেই এক কাণ্ড। 'টাইগার ৩' সিনেমার একটি লুক থেকে ক্যাটরিনার 'ডিপফেক' ছবি তৈরি করে ভাইরাল করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবার 'ডিপফেক' ছবির জালে ক্যাটরিনা
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে 'টাইগার ৩' ছবির ট্রেলার, যেখানে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সলমন খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। সেখানেই একটি দৃশ্যে দেখা যায় যে হামামের মধ্যে তোয়ালে পরে অ্যাকশন সিক্যোয়েন্স করছেন বলিউডের প্রিয় ক্যাট। সেই দৃশ্য থেকেই একটি ছবি হয়েছে ভাইরাল। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একই পোজে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী কিন্তু তাঁর পোশাক ভিন্ন। আসলে যা পরেছিলেন অভিনেত্রী, 'ডিপফেক' করে তোয়ালে ঢাকা অংশের পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই ভুয়ো ছবি এখন মুছে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।
Katrina Kaif's towel scene from Tiger 3 gets morphed. Deepfake picture is garnering attention and it's really shameful. AI is a great tool but using it to morph women is outright criminal offence. Feels disgusted#tiger3 #morphedpic #katrina @BeingSalmanKhan @yrf @KatrinaKaifFB pic.twitter.com/Jv0ABOsvTQ
— Pranit (@pranit_pranu) November 7, 2023
সম্প্রতিই এক ইনফ্লুয়েন্সারের মুখে 'পুষ্পা' অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার মুখ ব্যবহার করে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তারপরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একটি এক্স (পূর্ববর্তী ট্যুইটার) পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সমস্ত ডিজিটাল নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং আস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত আইটি নিয়মের অধীনে - কোনও ব্যবহারকারীর দ্বারা কোনও ভুল তথ্য যেন পোস্ট করা না হয় তা নিশ্চিত করা প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি আইনি বাধ্যবাধকতা; এবং নিশ্চিত করুন যে কোনও ব্যবহারকারী বা সরকারের দ্বারা রিপোর্ট করা হলে, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভুল তথ্য যেন মুছে ফেলা হয়; যদি প্ল্যাটফর্মগুলি এই নিয়ম মেনে না চলে তবে নিয়ম ৭ প্রযোজ্য হবে এবং প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতে নিয়ে যেতে পারেন; 'ডিপফেক' হল সাম্প্রতিকতম এবং আরও বেশি বিপজ্জনক এবং ভুল তথ্যের ক্ষতিকর রূপ এবং প্ল্যাটফর্মগুলির দ্বারা এর মোকাবিলা করা প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: Rashmika Mandanna: রশ্মিকা মান্দানার 'ভাইরাল ভিডিও' কাণ্ডে কড়া সরকার, কী পদক্ষেপ?
কী এই 'ডিপফেক' টেকনোলজি?
'ডিপফেক এআই টেকনোলজি' হচ্ছে এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যার সাহায্যে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর, ডিজিট্যাল কনটেন্ট তৈরি করা যায়, প্রাথমিকভাবে কোনও ব্যক্তির রূপ বা কণ্ঠস্বর বদলে ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়। এতে আধুনিক মানের অ্যালগোরিদম ও মেশিন লার্নিং টেকনিক ব্যবহার করা হয় যার দ্বারা মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ইচ্ছা মতো নষ্ট করা যায়, এবং নতুন তৈরি সেই ভুয়ো জিনিস আশ্চর্যরকমের সত্য বলে মনে হয়। যার ফলে কোনটা আসল, কোনটা নকল বোঝা সত্যিই শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন