Aparajita Adhya: আমরাই শেষ প্রজন্ম যাদের সঙ্গে আটপৌরে শব্দটা মিশে আছে: অপরাজিতা
অপরাজিতা আঢ্য। তাঁর নামের সঙ্গে কোথায় যেন মিশে রয়েছে স্নিগ্ধতা। শাড়ি, এলো চুল, সিঁদুরটিপের এক অগোছালো লালিত্য।
কলকাতা: অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। তাঁর নামের সঙ্গে কোথায় যেন মিশে রয়েছে স্নিগ্ধতা। শাড়ি, এলো চুল, সিঁদুরটিপের এক অগোছালো লালিত্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য় তেমনি ছবি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি আর কপালের বড় লাল টিপে সেই চেনা অপরাজিতা। সেইসঙ্গে অভিনেত্রীর ছোট্ট ক্যাপশন মন ছুঁয়ে গেল নেটিজেনদের।
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ৩টে ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি আর কপালের বড় লাল টিপে সেই চেনা স্নিগ্ধতা। কোথায় এলো খোঁপায় ফুল লাগাতে ব্যস্ত অভিনেত্রী। কোথাও আবার লম্বা চুলে খুলে, একরাশ হাসিতে ভরিয়ে তুলছেন ছবি। তৃতীয় ছবিতে আমের মুকুল দেখে উচ্ছসিত তিনি। ক্যাপশানে অপরাজিতা লিখেছেন, 'আটপৌরে শব্দটা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে। আমরাই বোধহয় শেষ প্রজন্ম যাদের সঙ্গে আটপৌরে শব্দটা মিশে আছে।'
অভিনেত্রীর লেখা এই দুই লাইন মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। সত্যিই তো। অপরাজিতা বলতেই আটপৌরে স্নিগ্ধতা। তিনি যেন দর্শকের একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে। এভাবেই বার বার দর্শক আপন করে নিয়েছেন তাঁকে। ব্যক্তিগত জীবনেও ভীষণ ঘরোয়া অভিনেত্রী। কাজের বাইরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি।
মাঝরাস্তায় স্কুটি খারাপ সোলাঙ্কির, সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন যীশু!
আলো ছায়ায় কেটেছে অভিনেত্রীর ২০২১ সালটা। করোনা, অসুস্থতা সব মিলিয়ে ভালো মুহূর্ত যেন খুঁজে পাওয়াই দায়। তবুও বছর শেষের ওই দিনটা কখনও ভুলবেন না অপরাজিতা। অভিনেত্রী বললেন, 'প্রতি বছরই ক্রিসমাসের আগের রাতটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি রাস্তায়। ছোটদের জন্য ছোট্ট ছোট্ট গুডি ব্যাগ তৈরি করা হয়। সেখানে শীতের জ্যাকেট থাকে, চকোলেট থাকে, খেলনা থাকে আর থাকে ক্রিসমাস কেক। রাত্রে পথশিশুদের হাতে সেগুলো তুলে দিই। ওরা যখন ঘুমায়, তখন আমরা যাই। ঘুম থেকে ডেকে ওদের তুলে উপহার দেওয়া যে কী অনবদ্য অভিজ্ঞতা। ওদের সেই হাসি আর আনন্দটা ভোলার নয়। গোটা বছরটা এত ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, ওই দিনটার অনাবিল আনন্দ যেন সব কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে। বছরের শেষে এসে ক্রিসমাসের রাতটা বড় ভালো কেটেছে আমাদের।'