Rudrajeet Mukherjee Father Death: 'অনেক লড়াই করেছো, এবার শান্তিতে ঘুমাও', বাবাকে হারিয়ে লিখছেন রুদ্রজিৎ
প্রয়াত অভিনেতা রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাবা দীপক মুখোপাধ্যায়। গত এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কলকাতা: প্রয়াত অভিনেতা রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাবা দীপক মুখোপাধ্যায়। গত এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। সঙ্গে আবেগপ্রবণ লেখাও। রুদ্রজিত লিখছেন, 'দীর্ঘ ১ মাসের লড়াই আজ শেষ। সবকিছু শেষ হয়ে গেল। তুমি অনেক লড়াই করেছো বাবা। এবার তুমি শান্তিতে থেকো। আর তোমায় কেউ জ্বালাবে না।' সদ্যই আইনি বিয়ে সেরেছেন রুদ্রজিত ও প্রমিতা চক্রবর্তী। আপাতত কলকাতাতেই একসঙ্গে থাকছিলেন তারা। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য প্রয়াত শ্বশুরমশাইয়ের ছবি পোস্ট করেছেন প্রমিতাও। লিখেছেন, 'খুব অল্প সময়ে পেলাম তোমায়। আজ তুমি চলে গেলে আমাদের ছেড়ে। অনেক লড়াই করেছো। তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।'
রুদ্রজিতের বাড়ি পুুরুলিয়াতে। আপাতত সেখানেই যাচ্ছেন প্রমিতা। অন্যদিকে দুর্গাপুরে রয়েছেন রুদ্রজিৎ। প্রমিতা বলছেন, 'অনেকদিন থেকেই বাবা অসুস্থ ছিলেন। কিডনির সমস্যা হয়েছিল। আজ সকালে স্ট্রোক হয়ে মারা যান উনি।' কঠিন সময়ে রুদ্রজিতের পাশে রয়েছেন প্রমিতা। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য মানতে হচ্ছে সমস্ত নিয়মও।
সম্প্রতি পুরুলিয়ায় এনগেজমেন্টের আয়োজন করেছিলেন রুদ্রজিৎ-প্রমিতা। রাজকীয় সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেবল কাছের কিছু আত্মীয়রা। আংটিবদল অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে সেদিনই আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। রুদ্রজিৎ ও প্রমিতা উভয়েই তাদের বাবার যে ছবিটি শেয়ার করেছেন সেটি এনগেজমেন্টে তোলা। আইনি বিয়ে সারার পরে আপাতত কলকাতার ঠিকানাতেই একসঙ্গে থাকছিলেন রুদ্রজিৎ-প্রমিতা। কাজের চাপ ও লকডাউনের ফলে সম্প্রতি রুদ্রজিতের জন্মদিনের আয়োজন বাড়িতেই করেছিলেন প্রমিতা। বাবা-মায়ের অভাব পূরণ করতে পায়েস-পাঁচ পদে খাইয়েছিলেন তাঁকে। খুশি হয়েছিলেন রুদ্রজিতও। তার কিছুদিন আগেই জন্মদিন গিয়েছে প্রমিতার। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিনে রুদ্রজিৎ স্ত্রীর জন্য সারপ্রাইজ পরিকল্পনা করেছিলেন। কেক-বেলুন-ফুলে গোটা বাড়ি সাজিয়ে একেবারে চমকে দিয়েছিলেন প্রমিতাকে।
এখন এই কঠিন সময়ে অবশ্য কাজ ভুলে পরিবারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন রুদ্রজিৎ-প্রমিতা।