Friendship Day: বন্ধুত্বের দিনে ঐন্দ্রিলার ইচ্ছাপূরণ করলেন সব্যসাচী
বন্ধুত্বের দিনে ভালোবাসার মানুষের আবদার ছিল বাইরে খেতে নিয়ে যাওয়ার। মনে ভয় থাকলেও কথা ফেলতে পারেননি সব্যসাচী চৌধুরী।
কলকাতা: বন্ধুত্বের দিনে ভালোবাসার মানুষের আবদার ছিল বাইরে খেতে নিয়ে যাওয়ার। মনে ভয় থাকলেও কথা ফেলতে পারেননি সব্যসাচী চৌধুরী। কাছের একটা ক্যাফেতে নিয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। অল্প সময়ের মধ্যেও বহুবার শরীরের খোঁজ নিয়েছেন ভয়ে। আতঙ্ক, মনখারাপ মেশানো দিনটার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন সব্যসাচী।
বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ পেয়েছিল বিনোদন জগত। ছটফটে হাসিখুশি মেয়েটা ক্যানসারে আক্রান্ত। ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অসুস্থতার খবর মনখারাপ করিয়ে দিয়েছিল সবার। তবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অভিনেত্রী সর্বদা পাশে পেয়েছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীকে। কেমন আছেন অভিনেত্রী। অনুরাগীদের কাছে মাঝে মধ্যে সেই খবর পৌঁছে দেন সব্যসাচী। ভাগ করে নেন ছোটখাটো ঘটনাও।
বন্ধুত্ব দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সব্যসাচী। লেখেন, 'প্রায় ৬ মাস পর বাইরে খেতে যেতে চেয়েছিল। শরীর এখনো বড়ই দুর্বল, তাই ভয়ে ভয়ে কাছেই নিয়ে গেলাম একটি ক্যাফেতে। এক কালে সেখানে প্রায়ই যেতাম আমরা। তবু সাহস সঞ্চয় করার জন্য সঙ্গে নিয়ে গেলাম ভাই এবং বন্ধুকে। যতই হোক বন্ধুত্ব দিবস বলে কথা। ঘন্টাখানেক ছিলাম সেখানে, তার মধ্যেই বার পঞ্চাশেক জিজ্ঞাসা করে ফেললাম শরীর খারাপ লাগছে কি না। বেরোনোর সময়ে গটগট করে হাঁটতে হাঁটতে, গম্ভীর হয়ে বললো, “এতো আতুপুতু করো না তো। এমন হাবভাব করছ, যেন আমার ক্যানসার হয়েছে।” লেখার শেষে একটি ছবি জুড়ে দিলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার মাথায় চুম্বন করছেন তিনি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খবর দেন সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সব্যসাচী লেখেন, 'জুলাই মাসটা খুবই সংকটে কেটেছে। ২৫ টা রেডিয়েশন এই মাসেই দেওয়া হয়েছে। রেডিয়েশন শেষ হয়েছে। একসঙ্গে চলেছে কেমোথেরাপি। যেহেতু সমানতালে দুটোই চলছিল, বেশ কিছু ওষুধপত্রের অদলবদল ঘটে। চিকিৎসার কারণেই ঐন্দ্রিলা মাঝে কিছুদিন প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ডব্লুবিসি কাউন্ট অনেক কম থাকার ফলে শরীর অসার হয়ে যাচ্ছিল। মায়ের সাহায্য ছাড়া কোনো কাজই করতে পারত না। তবে সমস্ত দুর্বলতা সামলে ও এখন সুস্থ আছে। প্রচন্ড খুশি যে রেডিয়েশন শেষ। তবে কেমো চলবে নভেম্বর অবধি।'
ক্যানসারের সঙ্গে প্রতিনয়ত লড়াই, কেমোর যন্ত্রণা, তা সত্ত্বেও ঐন্দ্রিলার প্রাণশক্তি অফুরন্ত। হামেশাই নিজের রোগ নিয়ে হালকা চালে মজা করেন অভিনেত্রী। শাসন করলেই বলে ওঠেন, 'এরকম করো না গো, আমি তো একটা অসুস্থ মানুষ.. অপারেশনের রুগী…'। ভালোবাসার মানুষের রোজনামচা লিখতে গিয়ে সব্যসাচীর লাইনে লাইনে আবেগ।
বিনোদন জগত থেকে শুরু করে অনুরাগীরা চান, একেবারে সুস্থ হয়ে শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরুক হাসিখুশি ঐন্দ্রিলা। রোগমুক্তি ঘটুক, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।