Shravan Rathore death : করোনায় স্তব্ধ সুর, চলে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক শ্রবণ রাঠোর
নাদিম-শ্রবণ জুটির হাত ধরে একাধিক সুপার-ডুপার হিট গান পেয়েছে ভারতবাসী।
মুম্বই : করোনা কেড়ে নিল শ্রবণ রাঠোরকে। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে হার্ট-অ্যাটাক ও মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরে প্রাণ হারালেন বিখ্যাত এই সঙ্গীত পরিচালক। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬৬। কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হন নাদিম-শ্রবণ জুটি হিসেবে গোটা দেশখ্যাত এই সঙ্গীত পরিচালক। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় শনিবার তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জীবনের সুর-তাল কাটল মারণ ভাইরাসের প্রকোপে।
সত্তরের দশকে ভোজপুরী সিনেমা দঙ্গল-এ সুর দেওয়া থেকে শুরু। তারপর নব্বইয়ের দশকে কার্যত বলিউড মাতিয়ে রেখেছিল নাদিম-শ্রবণ জুটি। নাদিম আখতার সইফি ও শ্রবণ রাঠোরের যুগলবন্দী আশিকি, সাজন, ফুল অর কাঁটে, রাজা হিন্দুস্থানী, সড়ক, রাজ-এর মতো সিনেমার সুপার-ডুপার হিট গান উপহার দিয়েছে। আসমুদ্রহিমাচলকে সুরের তালে মুগ্ধ করা শ্রবণ রাঠোরের এহেন অকাল প্রয়াণে তাই কার্যত শোকে পাথর দেশের সঙ্গীমহল। তার হাজারো গুণমুগ্ধও মনমরা।
শ্রবণ রাঠোরের স্মৃতির উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করতে গিয়ে কার্যত অনেক দেশবাসীর মনের কথাটা বলেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম পরিচিত সঙ্গীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্ট। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, শ্রবণ ভাই আর নেই। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই। নাদিম-শ্রবণ জুটি আমাদের সবাইকে নব্বইয়ের দশকে একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছিল। কোভিডের ধাক্কা আমাদের অনেক প্রিয়জনকে ছিনিয়ে নিয়েছে, জানিনা এর শেষ কোথায়।
শ্রবণ রাঠোরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন শ্রেয়া ঘোষালও। শ্রেয়া লেখেন, অতিমারীর সময়ে আরও একটা বড় ক্ষতি। নাদিম-শ্রবণ জুটির শ্রবণ জির মৃত্যুতে শোকাহত। শুধু বড় মাপের সঙ্গীত পরিচালকই নন, উনি ছিলেন দরাজ মনের মানুষও। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই ও ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রীতম, আদনান স্বামী, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
এদিকে কোভিড সংক্রমণের সুনামির তীব্রতা কমার কোনও লক্ষ্মণ এখনও দেশে নেই। শুক্রবার এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়দিন তিন লক্ষের বেশি ছাড়িয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সঙ্গে আজ টানা তৃতীয়দিন ২ হাজারের বেশি ভারতীয়কে হারিয়েছি আমরা।