Tollywood News: 'আমি যখন শয্যাশায়ী হাসপাতালে, দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে', বন্ধুকে মনে করলেন গৌরব
Ggourab on Oindrila Sharma: 'আমি যখন শয্যাশায়ী, হাসপাতালে, হঠাৎ দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে', ফেসবুকে মন খুললেন অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী। তারপর ?
কলকাতা: 'আমি যখন শয্যাশায়ী, হাসপাতালে, হঠাৎ দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে', ফেসবুকে মন খুললেন অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী। তারপর ? তারপর আর কি ? অবাক হওয়ার পালা। কারণ প্রথমবার ঐন্দ্রিলার (Oindrila Sharma) সঙ্গে দেখা হয়েছিল, কোনও শ্যুটিং সেটে নয়, হাসপাতালে শয্যাশায়ী অবস্থাতেই। বন্ধুত্বটা শুরু সেখান থেকেই। আজ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, তাই স্মৃতির শহরে টেলি পাড়ার অন্যতম অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী (Ggourab Roy Chowdhury)।
ফেসবুকে গৌরব বলেন, 'আমি যখন শয্যাশায়ী, হাসপাতালে, সার্জারি হওয়ার পরেরদিন অনেক কষ্টে, উঠে আসতে আসতে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলাম, হঠাৎ দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে। ওর সঙ্গে আলাপও ছিল না। ও নিজেই এসেছিল আলাপ করতে। বলল, শুনলাম, তোমার সার্জারি হয়েছে, এখানে ভর্তি। ওই লেদিন এই মেয়েটির প্রতি এতোটা স্নেহ আর সম্মান বেড়ে গেল ভিতর থেকে, সত্যি আজও জানি না।' তিনি আরও বলেছেন, মন থেকে চাই, তুমি পুরো সুস্থ হয়ে ওঠো। আর এতো ভালো মেয়েটা বারবার অসুস্থ হচ্ছে, এটা বোধয় উপরে যিনি গল্প লিখছেন, তার কাছেই আমার প্রশ্ন রইল, এত নিষ্ঠুর নাইবা হলে আর !'
প্রসঙ্গত, স্বপ্নে ভর করে ডানা মেলার বয়সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। তবে অদৃষ্টকে দোষারোপ করার পরিবর্তে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছিলেন। তাঁর সেই অদম্য লড়াইয়ের সামনে মাথা নোয়াতে হয়েছিল ক্যান্সারকে। মারণ রোগকে হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন অভিনয় জগতে। তার পর স্বাভাবিক জীবন যাপনই চলছিল ঐন্দ্রিলার। উৎসবের মরসুমে শাড়ি পরে ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকা ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ব্রেন স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। তা বার করতে গেলে ঐন্দ্রিলার শরীরের একদিক সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে গিয়েছে। হাওড়ার আন্দুলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন, অসুস্থ ঐন্দ্রিলা, 'নায়িকা বদল' করে গোয়ায় ছবির শ্যুটিং শুরু
ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগাগোড়া ঐন্দ্রিলার পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। হাওড়ার ওই হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার কাছে কাছেই রয়েছেন। পরিবারের লোকজনও রয়েছেন হাসপাতালে। ঐন্দ্রিলাকে দ্রুত সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য সকলের। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে টলিপাড়াতেও। কলা-কুশলীরা তাঁর খোঁজ নিচ্ছেন। দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলে। সম্প্রতি, সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুক পোস্ট করে বলেন, 'ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি। সাক্ষাৎকার দিইনি। দেবও না। শুধু জেনে রাখুন, মেয়েটা লড়াই করে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। ' এরপর তিনি আরও বলেন, 'নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না।'