Nimrat Kaur: 'দশভি' ছবির জন্য কীভাবে ১৫ কেজি ওজন বাড়ান নিমরত কৌর?
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একই পোশাকে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নিমরত কৌর। ছবি দুটিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে একই পোশাকে। তবে, ছবি দুটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দুটি ছবি আলাদা সময়ে তোলা।
মুম্বই: কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে বলিউড ছবি 'দশভি' (Dasvi)। এই ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গিয়েছে অভিষেক বচ্চন, ইয়ামি গৌতম, নিমরত কৌরকে (Nimrat Kaur)। কিছুদিন আগেই নেট দুনিয়ায় নিমরত কৌরের দুটি ছবি ভাইরাল হয়। পরবর্তীকালে অভিনেত্রী নিজেই সেই দুটি ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করেন। এবং তার সঙ্গে দীর্ঘ একটি লেখার মাধ্যমে জানান, 'দশভি' ছবির জন্য কীভাবে তিনি ওজন বাড়ান। পাশাপাশি শ্যুটিং শেষ হতে ওজন আবার কমিয়ে ফেলে ফিট হয়ে ওঠেন তিনি।
'দশভি' ছবিতে ওজন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে নিমরত কৌর-
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একই পোশাকে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নিমরত কৌর। ছবি দুটিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে একই পোশাকে। তবে, ছবি দুটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দুটি ছবি আলাদা আলাদা সময়ে তোলা। একটি যখন ওজন কম ছিল তখনকার, অন্যটি ওজন বৃদ্ধির পর। দুটি ছবি পোস্ট করে তাঁর এই ওজন বৃদ্ধি এবং কমানোর জার্নি প্রসঙ্গে নানা কথা লেখেন অভিনেত্রী। নানা কথার মধ্যে তিনি মনে করিয়ে দেন, 'লিঙ্গ, বয়স, পেশা, কোনওটাই এখানে মুখ্য বিষয় নয়। আমি আমার জীবনের ছোট্ট একটা অধ্যায় সকলের সামনে তুলে ধরছি।' প্রসঙ্গত, 'দশভি' ছবিতে বিমলার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন - KGF Chapter 2: 'কেজিএফ চ্যাপ্টার টু' দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের
'দশভি' ছবির প্রেক্ষাপট-
‘দশভি’র কাহিনি শুরু হয়েছে হরিৎ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গারাম চৌধুরীকে ঘিরে। তাঁর প্রবল-প্রতিপত্তি, ক্ষুরধার রাজনৈতিক বুদ্ধি, বিশাল সম্পত্তি...সবই আছে। শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি ক্লাস এইট পাস। গঙ্গারামের স্ত্রী বিমলা সংসারের সব দায়িত্ব সামলান। কিন্তু তিনি স্বামীর সামনে জোরে কথা বলতে পারেন না। গঙ্গারামের কাছে যখন বিনিয়োগকারীরা আসেন, তখন গঙ্গারাম স্কুল গড়ার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন শপিং মল গড়ায়। তাঁর ধারণা, শপিং মল হলে রোজগারের সুযোগ মিলবে, স্কুল খুললে বাড়বে বেকারের সংখ্যা। এহেন গঙ্গারামের জীবনেই একদিন বিপর্যয় নেমে আসে। দুর্নীতির মামলায় জেলে যেতে হয় তাঁকে। তখন গঙ্গারাম মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দেন তাঁর স্ত্রী বিমলাকে। এরপরই ধীরে ধীরে কাহিনির মোড় ঘুরতে থাকে। জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট হয়ে আসেন জ্যোতি দেশোয়াল। তাঁর কড়া শাসনে বদলে যায় জেলের ঢিলে-ঢালা নিয়মকানুন। সাধারণ অপরাধীদের মতোই দিন কাটাতে হয় গঙ্গারামকে। জেলে যাতে তাঁকে কোনও কাজ করতে না হয়, তাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন বলে স্থির করেন তিনি। লাইব্রেরিতে পড়তেও যান। কিন্তু তাঁর পড়ার পিছনের মূল উদ্দেশ্যটা ধরা পড়ে যায় জ্যোতির চোখে। এরপর নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনি এগোয়। কুর্সির স্বাদ পেয়ে ভোল বদলে যায় গঙ্গারামের স্ত্রী বিমলারও। এদিকে গঙ্গারাম শপথ করেন, মাধ্যমিকে পাস করতে না পারলে তিনি আর কোনও দিনও মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন না। এখান থেকেই শুরু হয় গঙ্গারামের নতুন সফর।