Sridevi Birth Anniversary: মা শ্রীদেবীর জন্মদিন, ছোটবেলার স্মৃতি ওস্কালেন খুশি, জাহ্নবী
আজ নায়িকার জন্মদিন। মায়ের জন্মদিনে স্মৃতি ওস্কালেন জাহ্নবী কপূর ও খুশি কপূর। সাক্ষী রইল সোশ্যাল মিডিয়া।
মুম্বই: ২০১৮ সালে মায়ের সঙ্গে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন দুই বোন। দুবাইয়ে। শেষ স্মৃতি বলতে এটুকুই। আর দেশে ফেরা হয়নি মায়ের। বাথটবে স্নান করার সময় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার শ্রীদেবীর। আজ নায়িকার জন্মদিন। মায়ের জন্মদিনে স্মৃতি ওস্কালেন জাহ্নবী কপূর ও খুশি কপূর। সাক্ষী রইল সোশ্যাল মিডিয়া।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় মা শ্রীদেবীর সঙ্গে ছোটবেলার একটি ছবি শেয়ার করেছেন জাহ্নবী। সঙ্গে লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন মা। তোমার প্রতিদিন, প্রতিটা মুহূর্তে ভীষণ মনে পড়ে। তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।' মা শ্রীদেবী ও বাবা বনি কপূরের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ছোট মেয়ে খুশিও। তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা যাচ্ছে, একে পরকে জড়িয়ে ধরে পিছন ফিরে হাঁটছেন শ্রীদেবী ও বনি কপূর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই মায়ের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নেন জাহ্নবী ও খুশি। শ্রীদেবী বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স এখন ৫৮ হত। শেষ পর্যন্ত অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন শ্রীদেবী। তাঁর শেষ ছবি 'মম'। সম্প্রতি মাদার্স ডে তে মায়ের সঙ্গে একাধিক ছবি শেয়ার করেছিলেন জাহ্নবী। কোথাও মায়ের কোলে বসে ছোট্ট জাহ্নবী, খুশি। আবার কখনও অ্যাফ ফিল্টার লাগিয়ে মায়ের সঙ্গে মজাদার ছবি তুলেছেন জাহ্নবী।
২০১৮-র ২০ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং সামনেই বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন, তাঁর জন্য কেনাকাটাও করবেন। যদিও বিশেষ কাজের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বনি কপূর। তিনি একটি বৈঠকের জন্য লখনউ গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে চমকে দিতে ২৪ তারিখ ফিরে আসেন বনি।
একটি সাক্ষাৎকারে বনি কপূর জানিয়েছিলেন যে, দুবাইয়ে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে গল্প করেন শ্রীদেবী। এরপর তাঁরা রাতে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ডিনারে যাওয়ার আগে শ্রীদেবী স্নান করতে যান। দেরি হতে থাকায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বনি কপূর শ্রীদেবীকে ডাকেন। কিন্তু তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। এরপর আরও কয়েকবার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢুকে শ্রীদেবীকে বাথটবে পান বনি। চিকিৎসকরা শ্রীদেবীর মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেতা সঞ্জয় কপূর জানিয়েছিলেন যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্তও হয়। এবং দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।