Murder in The Hills: ‘ক্যামেরার সামনে মেকআপ করতে হবে না শুনে প্রচণ্ড আনন্দ হয়েছিল’
কেমন ছিল অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? সন্দীপ্তা বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকে অঞ্জনদাকে দেখছি। একটা মানুষ এত ভালো গান গান, লেখেন, পরিচালনা করেন.. ওনার থেকে কাজের প্যাশানটা শেখার মত। অঞ্জনদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ উত্তেজিত হয়েছিলাম।
কলকাতা: শহর থেকে অনেক দূরে পাহাড় ঘেরা দার্জিলিং। প্রেমের শহরের প্রেক্ষাপটে রহস্য গল্প বুনলেন অঞ্জন দত্ত। ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’। দিনটা ছিল পরিচালকের জন্মদিনের পরের দিন। সকালবেলা সন্দীপ্তার ঘুম ভাঙে রিংটোনে। ‘অঞ্জনদার ফোন’! নতুন কাজ নিয়ে আলোচনা.. চরিত্র বুঝিয়ে দেওয়া...। ব্যাস, ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’-এর যাত্রা শুরু সন্দীপ্তা সেনের।
কেমন ছিল অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? সন্দীপ্তা বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকে অঞ্জনদাকে দেখছি। একটা মানুষ এত ভালো গান গান, লেখেন, পরিচালনা করেন.. ওনার থেকে কাজের প্যাশানটা শেখার মত। অঞ্জনদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ উত্তেজিত হয়েছিলাম। এত ভালো করে চরিত্রগুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও অসুবিধাই হয়নি। একটা অভিনয় ওয়ার্কশপের মত ছিল অভিজ্ঞতাটা।‘
পাহাড় ঘেরা দার্জিলিং আর অঞ্জন দত্ত, এই দুটো যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একসময় ওখানেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। সেইজন্য শ্যুটিং করতে গিয়ে নাকি বেশ সুবিধাই পেয়েছে টিম ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’। অভিনেত্রী বলছেন, আমাদের শ্যুটিং-এর জায়গাগুলো খুব অন্যরকম ছিল। অঞ্জনদা এত ভালো করে দার্জিলিংকে চেনেন, অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গা খুঁজে বার করতেন। আর ওখানে সবাই এত ভালোবাসে ওনাকে, অনুমতি পেতে কোনও অসুবিধাই হত না। সেন্ট পলসের চত্বরেও শ্যুটিং হয়েছে আমাদের।
এর আগেও একাধিক ওয়েবসিরিজ করেছেন সন্দীপ্তা। তবে এবারের চরিত্রটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল তাঁর কাছে। কেন? ‘এই প্রথম আমায় সিগারেট হাতে দেখবেন দর্শকরা। সিরিজে আমার নাম ডঃ নিমা প্রধান।‘ হাসতে হাসতে বললেন সন্দীপ্তা। তারপর যোগ করলেন, ‘চরিত্রটার বয়স আমার থেকে অনেক বেশি। তাই কথা বলা, হাঁটাচলার মধ্যে সেই অভিজ্ঞতাবোধটা ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। এই চরিত্রটার মত ধূসর চরিত্র এর আগে আমি করিনি। অনেকগুসো শেডস রয়েছে চরিত্রটায়। আর আমার সবচেয়ে মজার জিনিস ছিল, সিরিজে আমার লুক। গোটা গল্পে আমার মুখে একফোঁটাও মেকআপ নেই। কেবল লিপস্টিক আর চশমা। আমি এমনিতেই মেকআর করতে একেবারে পছন্দ করি না। প্রথম যখন শুনলাম সাজতে হবে না, খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।‘
শ্যুটিং করতে সন্দীপ্তা দার্জিলিং গিয়েছিলেন, সেটা নাকি কাউকে বলেই জাননি। ‘নিমা’ বললেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি প্য়াক আপ হয়ে যেত আমাদের। তারপর প্রচুর ঘুরেছি দার্জিলিং-এর আশেপাশে। এক্কেবারে স্ট্রেস ফ্রি শ্যুটিং। কেউ বুঝতেই পারল না একটা কত বড় কাজ হয়ে গেল।‘
আরও পড়ুন