Nigel Akkara Exclusive: 'প্রথম ছবি মুক্তির পরে কোর্টে অপমানিত, ভেবেছিলাম আর অভিনয় করব না'
Nigel Akkara Exclusive: 'মুক্তধারা' যখন মুক্তি পেল, তখনও কোর্টে মামলা চলছে তাঁর নামে। নাইজেল বলছেন, 'আমার একটা সময় জেলে কাটিয়েছি। তখন মনে হত, ফিরে এসে সমাজের মূল স্রোতে চলব।
কলকাতা: 'মুক্তধারা' তাঁকে খ্যাতি দিয়েছিল, পরিচিতি দিয়েছিল, মানুষের ভালোবাসাও দিয়েছিল। কিন্তু পরিচিতি? তখনও কোর্টে মামলা চলছে তাঁর। সেখানে গিয়েও অপমানিত হতে হয়েছে। নতুন ছবি মুক্তির পরে এবিপি লাইভের সঙ্গে ওঠা পড়ার সেই সফরকে ফিরে দেখলেন নাইজেল আকারা (Nigel Akkara)।
'মুক্তধারা' যখন মুক্তি পেল, তখনও কোর্টে মামলা চলছে তাঁর নামে। নাইজেল বলছেন, 'আমার একটা সময় জেলে কাটিয়েছি। তখন মনে হত, ফিরে এসে সমাজের মূল স্রোতে চলব। ফিরে এসে ৩ বছর অন্য কাজ করলাম। তারপর 'মুক্তধারা' তৈরি হল। এই ছবিটার পরে মানুষ যেভাবে আমায় নিজের কাছে টেনে নিল, সেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। আমার এগিয়ে চলার পথটা যেন প্রসারিত হয়ে গেল। আমায় আলাদা করে মানুষের কাছে গিয়ে আর কিছু বলতে হল না। সবাই জানে আমার অতীত, সেভাবেই মানুষ আমার বর্তমানটাকে মেনে নিয়েছেন। সেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। কিন্তু সেইসময় আমার কিছু কেস চলছিল কোর্টে। সেখানে গেলে সমস্যা হত। বড় বড় প্রশাসনিক কর্তারা অপমান করতেন, বলতেন, 'ও তো হিরো, ওকে কী বসার জন্য চেয়ার দিতে হবে?' সেইসময় এক সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম, 'আর ছবি করতে চাই না।' তারপর ৬ মাস কাজ করলাম না। এরপর কাজ শুরু করলাম একটা দক্ষিণী ছবি দিয়ে। ফের ফিরে এলাম কলকাতায়। নিজেকে বোঝালাম, আমায় বেছে নিতে হবে আমার চলার জন্য কোন কথায় কান দেব আর কিসে দেব না।
আরও পড়ুন:Nigel Akkara Exclusive: 'যদি আমার অতীতের কথা বেশি বিক্রি হয়, মানুষ সেটাই শুনুক'
সদ্য মুক্তি পেয়েছে নতুন ছবি 'তীরন্দাজ শবর' (Tirondaaj Sobor)। অরিন্দম শীল পরিচালিত এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন নাইজেল। অবাঙালি নাইজেল এখন দিব্যি বাংলা বলেন, লেখেনও। বাংলা ছবিতে কাজ করতেও দিব্যি সাবলীল তিনি। অভিনেতা বলছেন, 'প্রথম যখন অভিনয়ে পা রাখি, আমি বাংলা পড়তে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে পাঠ্যে বাংলা ছিল না আমার, কথাও বলতাম হিন্দিতে। 'মুক্তধারা'-র চিত্রনাট্যও লেখা ছিল ইংরাজি হরফে। এখন আমি বাংলা পড়তে, লিখতে দুইই পারি। নাটক পরিচালনার কাজও করি বাংলায়। আমি মাকে বলেছিলাম, যে সম্মান তুমি পশ্চিমবঙ্গে হারিয়েছো, সেই সম্মান তোমায় ফিরিয়ে দেব কলকাতাতেই। আমার কখনও কোনও কাজের জন্যই বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। সুযোগ পেলেও কলকাতার বাইরে যাইনি। কারণ এখন আমার ব্যাঙ্কে কত পুঁজি আছে সেটা আমায় ভাবায় না। ভাবায়, মানুষ আমায় কীভাবে মনে রাখছে সেটা। আমার লড়াইটা সেটার জন্যই। এখন মা খুশি.. আমার সঙ্গেই আছেন।'