Aishwarya Rai Bachchan: বিনা অনুমতিতে দেদার ব্যবহার হচ্ছে ঐশ্বর্যর নাম ও ছবি! কী রায় দিল আদালত?
Aishwarya Rai Bachchan: আজ দিল্লির উচ্চ আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়, কোনোমতেই বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না

কলকাতা: তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে অনুমতি না নিয়েই। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। আজ সেই মামলায় রায় শোনাল হাইকোর্ট। ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। আর এবার, সেই মামলায়, দিল্লি হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ছবি ও নাম। এত অভিনেত্রীর ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। নষ্ট হতে পারে তাঁর ভাবমূর্তিও। কোনো বিপণীতে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না তাঁর নাম বা ছবি।
আজ দিল্লির উচ্চ আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়, কোনোমতেই বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না। অভিনেত্রীর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ঐশ্বর্যর ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কফি মগ, টি-শার্টের মতো বিভিন্ন ধরণের জিনিস। একই সঙ্গে নায়িকার নানা ছবি বিকৃত করে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সেই সব ছবির স্বাভাবিকতা নষ্ট করে সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে নায়িকার ভাবমূর্তি চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আদালতে অভিনেত্রীর বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি তেজস করিয়া। যাতে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই কারণেই তিনি কড়া রায় দিয়েছেন। তবে যদি আবার এই ধরণের ঘটনা ঘটে, যদি ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ছবি ফের বিকৃত করে ব্যবহার করা হয় বা বিপণীর জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনকে এইরকম ঘটনা দেখলে যথাযথ পদক্ষেপ ও নিতে বলেন বিচারক। এদিন অভিনেত্রীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সন্দীপ শেট্টি। আদালতে এদিন অভিযোগ করা হয়, বিজ্ঞাপনের জন্য যথেচ্ছভাবে ব্য়বহার করা হচ্ছে ঐশ্বর্য রাইয়ের নাম ও ছবি। সবটাই করা হচ্ছে নায়িকার অজান্তে। আগামীতে এই ধরণের ঘটনা দেখলে, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
ব্যক্তিত্ব রক্ষার আবেদন জানিয়ে এই প্রথম কোনও তারকা আদালতে গেলেন না। এর আগে, অভিনেতা জ্যাকি শ্রফও আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। সেই মর্মে গত বছর মে মাসে আদালত, জ্যাকির ছবি, ভিডিও-র বাণিজ্যিক ব্যবহার, তাঁর ছবি বসানো পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বসায়। অভিনেতার অনুমতি ছাড়া এমন কিছু করা যাবে না বলে জানানো হয়। ২০২৩ সালে অভিনেতা অনিল কপূরের নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য সব কিছু, এমনকি বিখ্যাত ‘ঝকাস’ সংলাপের বাণিজ্যিক ব্যবহারেও লাগাম টানে আদালত। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকেও সেই মর্মে নিরাপত্তা প্রদান করে আদালত।






















