Nusrat Jahan: 'যশের সঙ্গে ভালো অভিভাবকত্ব কাটাচ্ছি', সন্তানের বাবা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নুসরত
নুসরতকে সামনে পেতেই সংবাদ মাধ্যমের তরফে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর ছেলের পিতৃপরিচয়ের কথা।
কলকাতা: মা হওয়ার পর এই প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু তিনি। নুসরতের সন্তানের বাবা কে এই প্রশ্নে তিনি জর্জরিত হয়েছেন একাধিকবার। বুধবার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে নুসরত জাহানের মন্তব্য, ‘বাবাকে সেটা বাবা জানে।'
পরবর্তীতে মাতৃত্বের প্রশ্নে অভিনেত্রী-সাংসদের মন্তব্য, 'যশের সঙ্গে আমি ভালো অভিভাবকত্ব কাটাচ্ছি।' নুসরতকে সামনে পেতেই সংবাদ মাধ্যমের তরফে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁর ছেলের পিতৃপরিচয়ের কথা। গোপনীয়তা সরিয়ে সকল জল্পনার প্রশ্নের উত্তর দিলেও খোলসা করেননি তাঁর ছেলে ঈশানের বাবা কে? যদিও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
২৬ অগাস্ট কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নুসরত জাহান। সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। নুসরতের গোটা মাতৃত্বের সফরেই তাঁকে আগলে রেখেছিলেন যশ। একরত্তির নাম ঈশান রেখেছিলেন নুসরত। নায়িকা চান, পিতৃপরিচয় নয়, আপাতত ঈশান বড় হোক মাতৃপরিচয়েই।
বিয়েকে লিভ ইন সম্পর্ক তকমা দেওয়া থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের চর্চায় বারবার সামনে এসেছে নুসরত জীবনী। তবে ছোট্ট ঈশানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরেই একাধিক ফটো শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। প্রত্যেক ফটোর ক্যাপশনে ছিল আলাদা আলাদা বার্তা।
সন্তানের জন্মের পর একটি ফটোশুট করেন নুসরত। সেখানে শিশুপুত্রের পিতৃপরিচয় জানতে উৎসুক ছিল গোটা নেটদুনিয়া। নুসরতের ছবির সেই ক্যাপশনে নেটমহলে জল্পনা উস্কে দিয়েছিল যে সন্তানের বাবা কে? কমেন্টবক্সে এই প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন রেখেছিলেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত, হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় নুসরতের সঙ্গী হয়েছিলেন যশ। এমনকি ছোট্ট ঈশানকে নিজেই কোলে নিয়েই গাড়িতে ওঠেন যশ।
হাসপাতাল থেকে ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নতুন ছবি পোস্ট করেন নুসরত। ইতিমধ্যেই কার্যত ভাইরাল হয়েছে নুসরতের এই ছবি। ক্যাপশনে নুসরত লিখেছেন, 'যাদের থেকে তুমি উপদেশ নাও না, তাদের সমালোচনাও তুমি নিও না।' স্পষ্ট বার্তা। সমালোচনাকে থোড়াই কেয়ার করে খুশি থাকতে, জীবনের নতুন অধ্যায়ে মজে থাকতে চাইছেন নুসরত। সেইসঙ্গে হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিয়েছেন, নিউরোল, নিউমমলাইফ, নিউলুক।