(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Pratyusha Banerjee Parents: মামলা লড়তে গিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-বাবা
প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মহত্যার পর গত পাঁচ বছর ধরে মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের আশায় মামলা লড়তে-লড়তে প্রায় অর্থ সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা-বাবা।
মুম্বই: ২০১৬ সালে মুম্বইয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রত্যুষার মৃত্যুর পিছনে তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিংহের হাত রয়েছে এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। অবশ্য অভিযোগ দায়ের করার কয়েক মাস পরেই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত রাহুল রাজ সিংহ। যদিও সেই মামলার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। আর গত পাঁচ বছর ধরে এই মামলা লড়তে গিয়ে চরম অর্থ সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-বাবা।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেত্রী প্রত্যুষার বাবা-মা জানিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা এখন অত্যন্ত খারাপ। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তাঁরা এখন দুজনে মিলে একটা কামরার ঘরেই জীবন কাটাচ্ছেন। প্রত্যুষার বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'ওই দুর্ঘটনার পর যেন একটা ঝড় হঠাৎ করে চলে এল আমাদের জীবনে। আর সেই ঝড়টা শুধু আমাদের জীবনকে লন্ডভন্ড করে দিয়েই গেল না, আমাদের থেকে যেন কেড়ে নিল সবকিছু। আমাদের কাছে আর কোনও জমানো টাকাও নেই। মামলা লড়তে লড়তে আমাদের যা কিছু ছিল, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। জানি না, এভাবে কতদিনই বা টানতে পারব। কতদিনই বা চলবে।'
শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে, কীভাবে আজও তাঁর স্ত্রী লড়াই করছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের আর্থিক অবস্থা এমন চরম জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, আমরা এখন একটা ঘরে থাকি। অনেক সময় আমরা লোকের থেকে ধারও নিয়েছি। কী করব মামলাটা তো লড়তে হবে। আমার স্ত্রী আগে লেখালেখি করতেন। ছোটদের জন্য গল্প লিখতেন। কিন্তু, দুটো রোজগারের আশায় এখন তিনি একটি চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। লড়াইটা দিন-দিন খুব কঠিন হয়ে উঠছে।'
অন্যদিকে অভিযোগের তির যাঁর দিকে সেই রাহুল রাজ সিংহ চলতি বছরেই আরেকটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর বর্তমান পরিস্থিতির কথা। বছর দুয়েক আগে তিনি বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সালোনি শর্মাকে। তিনি বলেছেন, 'প্রত্যুষার মৃত্যুর পর আমার জীবনটা যেন টেলিভিশনের একটা দুঃখের সিরিয়াল হয়ে উঠেছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন।'