Dhurandhar: 'হিংসাকে বিনোদন হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে.. সহ্য করতে পারছি না', 'ধুরন্ধর' নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাধিকা আপ্তে
Radhika Apte on Dhurandhar: রাধিকার মতে, যে বিনোদন দুনিয়ায় এত হিংসা, তার সঙ্গে কীভাবে সন্তানকে পরিচয় করাবেন, সন্তানই বা কি শিখবে, তা নিয়ে চিন্তিত রাধিকা

কলকাতা: বক্সঅফিসে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে 'ধুরন্ধর' (Dhurandhar), দর্শকদের মধ্যেও প্রবল আলোড়ন ফেলেছে এই সিনেমা। তবে গোটা সিনেমা জুড়ে রয়েছে হিংসা এবং একাধিক নির্মম দৃশ্য। আর এই সমস্ত দৃশ্য দেখে দর্শকদের একাংশ বেশ বিব্রতবোধ করছেন বলেই জানিয়েছেন। প্রথমে, 'ধুরন্ধর' -এর হিংসা দৃশ্য নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুব রাঠি। আর এবার, সেই তালিকায় নাম লিখেয়েছেন, রাধিকা আপ্তে (Radhika Apte)। তিনি জানিয়েছেন, 'ধুরন্ধর' -এ এত হিংসার দৃশ্য দেখে বিব্রতবোধ করছেন তিনি, ভয় পাচ্ছেন নিজের সন্তানকে নিয়েও।
রাধিকার মতে, তিনি চান তাঁর সন্তানকে বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করাতে, কিন্তু যে বিনোদন দুনিয়ায় এত হিংসা, তার সঙ্গে কীভাবে সন্তানকে পরিচয় করাবেন, সন্তানই বা কি শিখবে, তা নিয়ে চিন্তিত রাধিকা। সদ্যই রাধিকা আপ্তে বলেছেন, 'ছবিটা দেখে আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে এবং আমার মনে হয়, এটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা উচিত। যেভাবে হিংসা আর অতিরিক্ত রক্তারক্তি দিয়ে বিনোদনকে পরিবেশন করা হচ্ছে সবার সামনে, সেটা নিয়ে আমার সত্যিই ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। যে পৃথিবীকে বিনোদন হিসেবে হিংসাকে তুলে ধরা হয় দর্শকদের সামনে, সেই পৃথিবীতে আমি আমার সন্তানদের জন্ম দিতে চাই না। এই হিংসা আমার সহ্য হচ্ছে না।'
রাধিকা এই কথা বলার পরে, তাঁর দিকে পাল্টা যুক্তি ধেয়ে আসে যে, এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন হিংসার ছবি দেখানো হয়েছে। তাহলে কেন 'ধুরন্ধর' -কেই নিশানা করা হচ্ছে? রাধিকার যুক্তি, গল্প বলার জন্য সমস্ত কিছু খোলাখুলি দেখানোর প্রয়োজন নেই। যদি কোনও গল্পে দেখানো হয় যে মানুষ কাটা হচ্ছে, তাহলে সেটা দেখানোর জন্য মানুষ কাটার দৃশ্য দেখানোর দরকার নেই। এমন আমি আগে কখনও দেখিনি। এই ধরণের সিনেমার প্রভাব সমাজের ওপর ভীষণ গভীর।'
এর আগে, এই সিনেমার ট্রেলার দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুব রাঠি লিখেছিলেন, 'আদিত্য ধর বলিউডের চূড়ান্ত খারাপ বলে যদি কিছু থাকে, তার সীমাও পার করে গিয়েছেন। চূড়ান্ত হিংসা, নৃশংসতা, আর অত্যাচারকে তুলে ধরা হচ্ছে তাঁর নতুন সিনেমার ট্রেলারে। এত হিংসা, এত রক্ত, এত নৃশংসতায় ভরা একটা ঝলক দেখা আর আইসিস-এর জঙ্গিদের হত্যালীলা দেখা, ২টোই মোটামুটি সমান। আর এটাকে বিনোদন বলে তুলে ধরা হচ্ছে দর্শকদের সামনে!'






















