Randhir Kapoor Health: কথা বলতে চাইছেন ভাই ঋষির সঙ্গে, রণধীর কপূরের অসুস্থতার কথা জানালেন রণবীর
‘শর্মাজি নমকিন’ ছবির প্রচারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন রণবীর। আর তা করতে গিয়েই বাবার সম্পর্কে বার বার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন তিনি। ছবির শ্যুটিং সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি ঋষি কপূর।
মুম্বই: সদ্য মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত বলিউড তারকা ঋষি কপূরের (Rishi Kapoor) শেষ ছবি 'শর্মাজি নমকিন' (Sharmaji Namkeen)। এই ছবিতে অভিনয় করাকালীনই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। আর তারপর পরলোকগমন করেন। আজ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে 'শর্মাজি নমকিন' ছবিটি। আর এই ছবি দেখার পরই প্রয়াত ঋষি কপূরের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁর দাদা রণধীর কপূর (Randhir Kapoor)। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে রণবীর কপূর (Ranbir Kapoor) জানালেন, তাঁর কাকা ডিমেনশিয়া ()Dimentia রোগে আক্রান্ত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে রণবীর কপূর বলেন, 'আমার কাকা রণধীর কপূর ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। এই অসুখের প্রথম পর্যায়ে রয়েছএন এখন তিনি। সদ্যই তিনি 'শর্মাজি নমকিন' দেখেছেন। ছবিটি দেখার পরই তিনি আমার কাছে আসেন। আর বলেন 'বাবাকে বলো, ও অসাধারণ। কোথায় এখন ও? চলো ওকে ফোন করি।' ওঁর চিকিতসা চলছে। শিল্প বা কলা সমস্ত বাঁধন সমস্ত শারীরিক চিকিতসার অবস্থাকে ভেঙে দেয়। একটা সুন্দর গল্প বলার কায়দা সব বদলে দিতে পারে।'
আরও পড়ুন - Shilpa Shetty Upcoming Film: প্রকাশ্যে শিল্পা শেট্টির 'নিকম্মা' ছবির মুক্তির দিন, সঙ্গে বড় চমক
প্রসঙ্গত, ‘শর্মাজি নমকিন’ ছবির প্রচারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন রণবীর। আর তা করতে গিয়েই বাবার সম্পর্কে বার বার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন তিনি। ছবির শ্যুটিং সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি ঋষি। তাই বাকি অংশের কাজ পরেশ রাওয়ালকে দিয়ে করিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু শুরুতে রণবীরকে দিয়েই ছবির কাজ সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। রণবীর জানিয়েছেন, ঋষির মৃত্যুর পর স্পেশ্যাল এফেক্টস থেকে প্রস্থেটিক, সব কিছু নিয়ে পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। বাবার জুতোয় পা গলানোর বহু চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই তা মানানসই হচ্ছিল না। শেষ সময়ে বাবার পাশেই ছিলেন রণবীর। তিনি জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্কে ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন কাজে ফেরার জন্যই উৎসুক ছিলেন ঋষি। ক্যানসার আক্রান্ত রোগী বলিউডে ফের কাজ পাবেন কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। রণবীর জানিয়েছেন, বাঁচবেন, না মরবেন, সে নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না ঋষির। অভিনেতা হিসেবে তাঁকে আর কেউ কাজ দেবে কিনা, সেই চিন্তাই কুরে কুরে খাচ্ছিল ঋষিকে।