Rani Mukherji: কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই রানি মুখোপাধ্যায়? জাতীয় পুরস্কার জয়ের পরে মুখ খুললেন নায়িকা
Rani Mukherji News: সম্প্রতি একজন রানি মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ইনস্টাগ্রামে রয়েছেন কি না? উত্তরে রানি জানান, ইনস্টাগ্রাম কেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই নেই।

কলকাতা: জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherji)। 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' (Mrs. Chatterjee vs Norway) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সম্প্রতি, দিল্লিতে সরকারি অনুষ্ঠানে পুরস্কার হতে পেয়েছেন তিনি। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে, অনুরাগীদের উদ্দেশে একটি বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কতটা উচ্ছ্বসিত এই পুরস্কার নিয়ে। এই পুরস্কার তিনি তাঁর অনুরাগীদের ও বাবাকে উৎসর্গ করেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে কোনোরকম পোস্ট করেননি। কারণ তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিই। কিন্তু কেন? শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) ও কাজল (Kajol) যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়, তেমন কিন্তু একেবারেই নন রানি মুখোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি একজন রানি মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ইনস্টাগ্রামে রয়েছেন কি না? উত্তরে রানি জানান, ইনস্টাগ্রাম কেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেই নেই। কারণ জানতে চাইলে রানি বলেন, তাঁর স্বামী মুখ একটা সর্বসমক্ষে আসতে পছন্দ করেন না। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এলেই সবাই জিজ্ঞাসা করবেন, তাঁর স্বামী কোথায়? এরপরে রানি মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি নাকি নিজেই পাপারাৎজিদের ফোন করে ডাকেন? এই কথা শুনে কার্যত চমকে ওঠেন রানি। বলেন, কখনোই না। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কেন এগুলো বলব!
রানি মুখোপাধ্যায়কে দীর্ঘদিন ধরে কোনও সিনেমায় দেখা যায়নি। ২০২৩ সালে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবিতে। সেই ছবিটির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। রানি মুখোপাধ্যায়ের অনুরাগীরা তাঁকে নতুন সিনেমায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে রানি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমি এই পুরস্কার পেয়ে মুগ্ধ, অভিভূত, আবেগে ভাসছি। কিন্তু এই পুরস্কার সেই সমস্ত মানুষগুলোর কাছে আরও বিশেষ, যাঁরা গত ৩০ বছর ধরে চেয়েছিলেন আমি এই পুরস্কারটা জিতি। আমার শুভাকাঙ্খীরা, আমার পরিবার, আমার অনুরাগীরা.. তাঁদের মুখে আমি যে খুশি, যে আনন্দটা দেখতে পেয়েছি, আমি যখন বুঝেছি আমার জাতীয় পুরস্কার জয় আমার অনুরাগীদের কতটা আনন্দ দিয়েছে.. আমি ও আবেগপ্রবণ হয়েছি। আমার বাবা চিরকাল চাইতেন, আমি একটা জাতীয় পুরস্কার জিতি। কিন্তু উনি জীবিত থাকাকালীন, আমি এই পুরস্কার পেলাম না। এখন উনি যেখানেই আছেন, আমার বিশ্বাস, উনি ভীষণ খুশি রয়েছেন। আমায় দূর থেকেই আশীর্বাদ করছেন। আমার বাবা মন থেকে চেয়েছিলেন এই দিনটা আসুক। তিনিই আমার মধ্যে অভিনয়ের বীজটা বপন করেছিলেন। আজ সেই দিনটা সত্যি হয়েছে। আমি এর জন্য নতশীর।'






















