Rishav Basu Exclusive: লন্ডনে শ্যুটিং, অনন্যার সঙ্গে প্রথমবার অভিনয়, ঋষভের স্বপ্নপূরণের গল্প
Actor Rishav Basu Exclusive: এই ছবির গল্প মা-কে নিয়ে, মায়েদের শ্রদ্ধা জানাতে। ছোট থেকেই আমাদের আগলে রেখে, সমস্ত কিছু শেখান আমাদের মায়েরাই। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন ভুলে যাই তাঁদেরও অবদান
কলকাতা: এক মায়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবির গল্প। অংশুমান প্রত্যুষের নতুন ছবি অন্নপূর্ণা (Annapurna)-র মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Anannya Chatterjee)। এছাড়াও রয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) ও ঋষভ বসু (Rishav Basu)। লন্ডনে শ্যুটিং থেকে শুরু করে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ, ছবি নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় ঋষভ।
কেন এই ছবিতে কাজ করতে রাজি হওয়া? ঋষভ বলছেন, 'প্রথমেই পছন্দ হয়েছিল এই ছবির ভাবনাটা। এক বাঙালি মা-কে নিয়ে অসাধারণ একটা গল্প বেছেছেন পরিচালক। ছবির শ্যুটিং হয়েছে লন্ডনে। সেই সময় ওখানে একেবারে উৎসবের মেজাজ। সদ্য ক্রিসমাস শুরু হয়েছে তখন। লন্ডন টিউবে, হুজখোলা বাসে, নৌকার ওপরে, দারুণ সব জায়গায় শ্যুট করেছি। অংশুমানদা হাসিখুশিভাবে কাজ করতে ভীষণ ভালবাসেন। আমরা শ্যুটিংয়ের মধ্যে ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে পুল... সব খেলেছি। আর আমি অনন্যাদির ফ্যান। ওঁর সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য যাকে বলে ফ্যানবয় মোমেন্ট। কাঞ্চনদার সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। বাকি সবাই যেমন দিতিপ্রিয়া, অর্ণদা, শান্তিলালদা, অ্যালেকডান্ড্রা সবার সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। হাসিখুশিতে সেটটা মেতে থাকত।'
আরও পড়ুন: Rishav Basu Exclusive: মা শিল্পী হতে পারতেন, সেতার ছেড়েছিলেন আমার জন্য: ঋষভ
ঋষভের মায়ের হাতের প্রিয় রান্না ভুনা খিচুড়ি। আর তার সঙ্গে আলুভাজা। আর পর্দায়? ঋষভ হেসে বললেন, 'হ্যাঁ, এই ছবির সঙ্গে রান্নার একটা সম্পর্ক আছে বটে। সিনেমায় আমার নাম রনি। সে অনাথ। রনির মা-কে খুঁজে পাওয়ার গল্প নিয়েই আবর্তিত হয় ছবির গল্প। এই ছবিতে দিতিপ্রিয়া ও ঋষভ ছাড়াও রয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় মুখ। এছাড়াও রয়েছেন অর্ণ মুখোপাধ্যায় (Arna Mukherjee), সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় (Sushmita Chatterjee), অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Viswanathan) ও শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (Shantilal Mukherjee)।
এই ছবির গল্প মা-কে নিয়ে, মায়েদের শ্রদ্ধা জানাতে। ছোট থেকেই আমাদের আগলে রেখে, সমস্ত কিছু শেখান আমাদের মায়েরাই। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন ভুলে যাই তাঁদেরও অবদান। এই গল্পও তেমন এক মায়ের। ছোট থেকেই মেয়েকে সমস্ত কিছু শিখিয়ে বড় করেন তিনি। কাজের সূত্রে মেয়ের (দিতিপ্রিয়া) ঠিকানা বদলে হয় লন্ডনে। মেয়ে চায়, মাকে (অনন্যা) লন্ডনে নিয়ে গিয়ে রাখতে, রাজি হয়ে যান মা-ও। কিন্তু সেখানে গিয়েই তাঁকে যেন ঘিরে ধরে একাকিত্ব। আর সেই লন্ডনেই তাঁর সঙ্গী হন অল্পবয়সী একটি ছেলে (ঋষভ)। সে যেন আশার আলো। ওই যুবকই মেয়েটির মা-কে বলেন একটি হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করতে। সেখান থেকেই ঘুরে যায় গল্পের মোড়।