Samantha Ruth Prabhu: 'আমি এখনও মারা যাইনি', কেন এমন বললেন সামান্থা?
ফের একবার নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কথা বললেন সামান্থা।
মুম্বই: বিরল রোগে আক্রান্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu)। নিজেই কিছুদিন আগে জানিয়েছেন যে তিনি মায়োসাইটিস নামে রোগে আক্রান্ত। শারীরিক অসুস্থতার কথা দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন। আর ফের একবার নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কথা বললেন সামান্থা।
আচমকা কী হল সামান্থার?
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ফের দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছেন সামান্থা প্রভু। তিনি লিখেছেন, 'আমি আর আগের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছিলাম যে, কিছুদিন ভালো যায়, কিছুদিন খারাপ যায়। কখনও কখনও আবার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়াও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু যখন পিছন ফিরে দেখি, দেখতে পাই কত কঠিন পরিস্থিতি আমি পেরিয়ে এসেছি। আমি লড়াই করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। একটা বিষয় আজ পরিস্কার করে দিতে চাই। আমি দেখলাম, আমার শারীরিক অবস্থার কথা জানানোর পর নানা জায়গায় এটা বলা হচ্ছে যে, আমি যে রোগে আক্রান্ত তাতে জীবনহানি হতে পারে। আজ এটা পরিস্কার করে দিতে চাই যে, বর্তমানে আমি যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, তাতে আমার রোগটা একেবারেই জীবনহানি ঘটানোর মতো নয়। আমি এখনও মারা যাইনি। তাই আমার মনে হয় না, কারও অসুস্থতা সম্পর্কে এমন হেডলাইন তৈরি করা উচিত বলে।'
আরও পড়ুন - Raju Srivastava: প্রকাশ্যে প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবের শেষ অভিনীত ওয়েব সিরিজের টিজার, চোখের জল ফেললেন অনুরাগীরা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁর হাতে নল লাগানো রয়েছে। হাত দিয়ে হৃদয়ের চিহ্ন দেখিয়েছেন। সঙ্গে সামান্থা লিখেছেন যে, 'যশোধরার ট্রেলার দেখে আপনারা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। আমি অত্যন্ত খুশি। আপনাদের ভালোবাসাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আর আপনাদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মধ্যেই আমার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি শেয়ার করে নিচ্ছি। যা আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।' সামান্থা প্রভু আরও লেখেন, 'গত কয়েক মাস আগে আমার শরীরে একটি রোগ ধরা পড়ে। আমার অটো ইমিউন কন্ডিশন দেখা দেয়। এই অসুখকে মায়োসাইটিস বলা হয়। ভেবেছিলাম, এই অসুখ থেকে সেরে উঠে, তারপর তা সকলের সঙ্গে শেয়ার করব। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, সেরে উঠতে অনেক দেরি রয়েছে। ডাক্তারেরা আমাকে সুস্থ করার জন্য অনেক চেষ্টা করঠেন। তাঁরা আামেক আশ্বাস দিয়েছেন যে, আমি পুরোপুরি সেরে যাব একদিন। ভালো দিন, খারাপ দিন দুটোই আমাদের কাটাতে হয়। এখন আমি শারীরিক এবং মানসিক, উভয় দিক থেকেই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কখনও মনে হচ্ছে, আমি আর একটা দিনও কাটাতে পারব না।'