Telugu superstar Soundarya: ‘সূর্যবংশম’ খ্যাত সৌন্দর্যর মৃত্যু নিয়ে, টানাপোড়েন, প্রভাবশালী অভিনেতার ভূমিকায় প্রশ্ন, মুখ খুললেন নায়িকার স্বামী
Soundarya Death Investigation: দু’দশক আগে বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্যর মৃত্যু হলেও, তার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের হয়।

নয়াদিল্লি: প্রায় দু’দশক পর অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে নতুন করে শোরগোল। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন ‘সূর্যবংশম’ খ্যাত নায়িকা সৌন্দর্যর স্বামী জি এস রঘু। স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে এতদিন পর জলঘোলা হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগের সত্যতা নিয়ে জানালেন নিজের মতামত। (Telugu superstar Soundarya)
দু’দশক আগে বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্যর মৃত্যু হলেও, তার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের হয়। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বর্ষীয়ান অভিনেতা মোহনবাবু সৌন্দর্য এবং তাঁর ভাই অমরনাথকে খুন করিয়ে থাকতে পারেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী চিট্টিমল্লু। নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। (Soundarya Death Investigation)
সেই নিয়ে শোরগোলের মধ্যে মুখ খুললেন সৌন্দর্যর স্বামী রঘু। মোহনবাবুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে জানালেন তিনি। রঘুর কথায়, “গত কয়েক দিন ধরে হায়দরাবাদের একটি সম্পত্তিকে সামনে রেখে শ্রদ্ধেয় মোহনবাবু এবং শ্রীমতী সৌন্দর্যকে নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। আমি এই ভিত্তিহীন অভিযোগ খারিজ করছি। মোহনবাবু বেআইনি ভাবে আমার স্ত্রীর কোনও সম্পত্তি দখল করেননি।”
রঘু আরও বলেন, “ওঁর (মোহনবাবু) সঙ্গে সম্পত্তির কোনও লেনদেন হয়নি আমাদের। আমি অন্তত তেমনই জানি। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরপে মোহনবাবুকে চিনি। উনি আমার ভাল বন্ধু। আমাদের পরিবার, আমার স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালক, সকলের সঙ্গেই ওঁর ভাল সম্পর্ক ছিল। আমরা সকলে ওঁকে বরাবর সম্মান এবং ভরসা করে এসেছি। আবারও বলছি, মোহনবাবুর সঙ্গে সম্পত্তির কোনও লেনদেন হয়নি আমাদের।”
রঘু নিজের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরলেও, এত বছর পর হঠাৎ সৌন্দর্যর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার দাবি উঠল কেন, আর তাতে মোহনবাবুর নামই বা জড়াল কী করে, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। ২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান সৌন্দর্য। সেই সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। ওই প্রাইভেট বিমানে সওয়ার ছিলেন তাঁর ভাইও। বিজেপি-র হয়ে করিমনগরে প্রচারে যাওয়ার সময় এক ইঞ্জিনের Cessna 180 বিমানটি ভেঙে পড়ে। সৌন্দর্য সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ফলে সৌন্দর্যর দেহ পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।
এত বছর পর নতুন করে সৌন্দর্যর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে অভিযোগকারী চিট্টিমল্লু দাবি করেন, শামশাবাদ গ্রামে সৌন্দর্যদের ছয় একর জমি ছিল। সেই জমি বিক্রির জন্য লাগাতার সৌন্দর্য এবং তাঁর ভাই অমরনাথের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন মোহনবাবু। সৌন্দর্য এবং তাঁর ভাই নতিস্বীকার করেননি। সেই নিয়ে চরমে পৌঁছয় সংঘাত। সৌন্দর্যর মৃত্যুর পর জোরপূর্বক ওই জমির দখল নেন মোহনবাবু। একই বিমানে সওয়ার সৌন্দর্য এবং তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু তাই খতিয়ে দেখা উচিত বলে দাবি তোলেন তিনি। কিন্তু সৌন্দর্যের মৃত্যুতে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্বামী।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
