'এত সহজে মানুষকে বিশ্বাস করে ভুল করেছি', শশাঙ্কের ঘটনায় ভেঙে পড়লেন শ্রীলেখা
তাঁর যে ডেটে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া, সেই ডেটে যাওয়া নিয়েই এখন পস্তাচ্ছেন শ্রীলেখা!
কলকাতা: হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছেন শ্রীলেখা মিত্র। মনখারাপ। তাঁর যে ডেটে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া, সেই ডেটে যাওয়া নিয়েই এখন পস্তাচ্ছেন শ্রীলেখা! অনুরাগীদের উদ্দেশে বিদেশ থেকে বললেন, 'আজ আর কোথাও বেরবো না। কেবল নিজেকে নিজে দুষব।'
ঘটনার সূত্রপাত গত মাসেই। টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখার সারমেয় প্রেম কারও অজানা নয়। তবে বিদেশি নয়, দেশি কুকুরকে বাড়িতে রাখতেই অনুরাগীদের উৎসাহ দেন তিনি। তাঁর নিজের বাড়ির পোষ্যরাও স্বদেশীই। কিছুদিন আগে একটি কুকুরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জি জানান অভিনেত্রী। সেইসঙ্গে লেখেন, যিনি এই পোষ্যের দায়িত্ব নেবেন, তাঁর সঙ্গে একটি কফি জেটে যাবেন শ্রীলেখা। উত্তর আসে তাড়াতাড়িই। রেড ভলান্টিয়ার্স শশাঙ্ক ভাভসার। শর্ত অনুযায়ী, শশাঙ্কের সঙ্গে একটি কফি ডেটেও যান শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি নিয়ে, কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে শ্রীলেখার যুক্তি ছিল, ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য নয়, কেবলমাত্র সচেতনতা প্রচার করতেই তাঁর এই উদ্যোগ।
আপাতত জুরিখে রয়েছেন অভিনেত্রী। বিদেশেই তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছয় দুঃসংবাদ। শশাঙ্ক যো পোষ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সে দুর্ঘটনায় মৃত! সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরের কথা লিখে নিজের ওপরেই দায়ভার নিয়েছেন শশাঙ্ক। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিস্ফোরক পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্রীলেখা। ‘শশাঙ্ক তুমি না রেড ভলান্টিয়ার্স! আমার কাছ থেকে যে কুকুর ছানাটিকে নিলে তার হদিশ দাও। এত বড় সাহস তোমার! বাচ্চাটাকে রাখতে পারলে না নিয়েছিলে কোন আস্পর্ধায়! আমার সঙ্গে ডেটের লোভে!'
এরপর একটি ভিডিও শেয়ার করে শ্রীলেখা বলেন, 'গতকালের ঘটনার পর আজকে আমার আর কিছু ভালো লাগছে না। অনেকে মনে করবেন, আমি আমার ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য বলেছিলাম যে কুকুরকে দত্তক নিয়ে আমার তরফ থেকে একটা কফি খেতে যাওয়ার আমন্ত্রণ থাকবে। আমি নিজে রাস্তার কুকুরদের দত্তক নিয়েছি। কিন্তু সে যে কেবলমাত্র একটা কফি ডেটের জন্য ওই কুকুরটাকে নিয়েছিল আমি বুঝতে পারিনি।' ভিডিওর শেষে শ্রীলেখা বলছেন, 'আজ আর কোথাও যাব না। ঘরে থাকব আর কেবল নিজেকে নিজে দোষারোপ করব এই বোকামিটা করার জন্য। মানুষকে বিশ্বাস করার জন্য।'