Bollywood Celebrity Updates: শাহরুখ-সলমন-আমির নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের থেকে কতটা আর কেন আলাদা?
আজকের প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে কি কাজ সম্পর্কে এতটাই ধৈর্য কিংবা পরিশ্রম করতে দেখা যায়? নাকি তাঁরা নিজেদের স্টারডম নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন?
মুম্বই: বলিউডে দীর্ঘ কেরিয়ার তিন খানের। শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সলমন খান (Salman Khan)। আমির খান (Aamir Khan)। তিন অভিনেতাই দীর্ঘ বছ ধরে বহু পরিশ্রম করে তবে আজ নিজেদের এই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। একদিনে এই সাফল্য সম্ভব হয়নি। আজকের প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে কি কাজ সম্পর্কে এতটাই ধৈর্য কিংবা পরিশ্রম করতে দেখা যায়? নাকি তাঁরা নিজেদের স্টারডম নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন? সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গে নিজের মত জানালেন সুভাষ ঘাই (Subhash Ghai)।
বলিউড অভিনেতাদের প্রসঙ্গে সুভাষ ঘাই-
১৮৭৬ সালে 'কালীচরণ' ছবি দিয়ে নিজের বলিউড জার্নি শুরু করেন সুভাষ ঘাই। প্রথম ছবি তৈরি করেন শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে। যা অত্যন্ত হিট হয়। পরবর্তীকালে বলিউডে একাধিক ছবি তিনি তৈরি করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম 'রাম লক্ষণ', 'কর্জ', 'তাল', 'পরদেশ'-এর মতো ছবি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানাচ্ছেন, নয়ের দশকের অভিনেতাদের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের তফাতটা কোথায়। তিনি বলছেন, 'নয়ের দশকের অভিনেতারা কাজের গুরুত্বটা বুঝত। গল্পের গুরুত্ব বুঝত। যেমন শাহরুখ, আমির , সলমন। ওরা ওদের নিজেদের কাজ কী তা জানত। সময়ে কাজ শেষ করত। জানত, কাজ ঠিক হলে তবেই ঠিকই টাকা আসবে। কিন্তু আজকের প্রজন্মের অভিনেতারা আগে টাকা বোঝে। তারা চায় আগে টাকা আসুক। তারা শুধুই নিজেদের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং আর পারিশ্রমিক সম্পর্কে চিন্তা করে। ওরা মনে করে ওরা নিজেরা বড় ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছে। আগে পিছনে কিছুই দেখে না বোঝে না। তেল - সাবানের মতো লোক ওরা। যারা ছবির শ্যুটিং ফেলে বিজ্ঞাপনের কাজ করতে যায়।'
আরও পড়ুন - Malaika Arora Birthday: মালাইকার জন্মদিনে বিশেষ ছবি অর্জুনের, কীভাবে শুভেচ্ছা জানালেন প্রেমিকাকে?
বিজ্ঞাপনের কাজ করার কি কোনও প্রভাব পড়ে ছবির কাজে? সুভাষ ঘাই বলছেন, 'অবশ্যই প্রভাব পড়ে। আপনারা কখনও রাজেশ খন্নাকে সেই সময় বিজ্ঞাপন করতে দেখেছেন? কিংবা অনিল কপূরকে সেই সময়ে বিজ্ঞাপন করতে দেখেছেন? আপনি সিনেমা হল থেকে বাড়িতে ফিরে টিভি খুলে বসলেন, দেখতে পাচ্ছেন একজন অভিনেতা তেল সাবান বিক্রি করছে সেখানে। এটাই পার্থক্য আজকের প্রজন্মের অভিনেতাদের সঙ্গে আগের অভিনেতাদের।'
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর আর ছবি তৈরি করতে দেখা যায়নি সুভাষ ঘাইকে। ২০১৮ সালে তিনি মি টু বিতর্কে জড়ান। এক মহিলা তাঁকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। যদিও সেই মামলায় ক্লিন চিট পান তিনি।