Mithun Chakraborty Birthday: কিশোর বয়সে ওঁকে পোস্টকার্ডে চিঠি লিখেছিলেন.. মিঠুনের জন্মদিনে অজানা গল্পে পরিচালক
Suman Ghosh on Mithun Chakraborty: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি লম্বা পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছেন সুমন ঘোষ। দুটি ছবি আর একটি লম্বা গল্প। একটি ছবিতে, মিঠুন চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন তিনি
কলকাতা: তখন সেই পরিচালকের বয়স নিতান্তই কম। কিন্তু চোখে অনেক স্বপ্ন। অনেক আশা। কিন্তু পকেটে স্বপ্নপূরণ করার টাকা নেই। তাঁরও না, তাঁর বাবারও নয়। পর্দায় তখন ম্যাজিক দেখাচ্ছেন এক 'ডিস্কো ডান্সার'। কলকাতায় বসে সেই কিশোরের মনে হয়েছিল, মুম্বইয়ে যে 'ডিস্কো ডান্সার' রয়েছেন, তিনি তো আদপে বাঙালি। তিনি নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন। লিখে ফেললেন একটা চিঠি। তারপর? মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)-র জন্মদিনে, সেই গল্পই শোনালেন পরিচালক সুমন ঘোষ (Suman Ghosh)। ছোটবেলায় যে নায়কের কাছে পড়াশোনার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি, সেই নায়ককেই পরিচালনা করলেন একসময়। কালের গভীরে এমন কতই না গল্প থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি লম্বা পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছেন সুমন ঘোষ। দুটি ছবি আর একটি লম্বা গল্প। একটি ছবিতে, মিঠুন চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন তিনি। অন্য ছবিতে কাবুলিওয়ালার চিত্রনাট্যের ওপরে সুমনকে দেওয়া মিঠুনের নোট ও অটোগ্রাফ। সুমন ঘোষ লিখছেন, 'আজ মিঠুন চক্রবর্তীর জন্মদিন। আজ আমি ওঁর সঙ্গে জড়িত একটা খুব ব্যক্তিগত গল্প বলতে চাই। ১৯৯০ সালে আমি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করি। ইচ্ছা ছিল, ইকনোমিক্সে স্নাতক হব। পরীক্ষা দিলাম, দুটি ইউনিভার্সিটিতে সুযোগও পেলাম। কিন্তু আমার পরিবারের আমায় মাস্টার্স পড়ানোরা মতো টাকা ছিল না তখন। ভাল নম্বর থাকা সত্ত্বেও, বাবা আমার মাস্টার্সের টাকা যুগিয়ে উঠতে পারলেন না।
আমি একটা অদ্ভুত কাজ করেছিলাম সেই সময়ে। কোনও একটা চলতি ম্যাগাজ়িন থেকে খুঁজে পেয়েছিলাম মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়ির ঠিকানা। ১৫ পয়সার একটা পোস্টকার্ডে ওঁর উদ্দেশে একটা চিঠি লিখেছিলাম। আমি জানতাম, উনি বলিউডের বড় সুপারস্টার। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, উনি শেষমেষ বাঙালি। আর সমাজের অনেক ভাল কাজে উনি অনেক অর্থসাহায্য করেন। একজন বাঙালি কিশোর অর্থের অভাবে পড়তে পারছে না শুনে উনি নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন। তখন বুঝতে পারিনি, এত যোগ্য ছাত্র রয়েছে। উনি কাকে সাহায্য করবেন? কতজন কেউ বা সাহায্য় করবেন? তবুও আমি চিঠিটা লিখেছিলাম। কিন্তু অবশ্যই কোনও উত্তর পাইনি।
এর অনেক বছর পরে.. প্রায় ৩০ বছর পরে আমি কাবুলিওয়ালার শ্যুটিং করছিলাম ওঁর সঙ্গে। শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে আমরা কার্গিলে ছিলাম। ১৩ হাজার ফুট ওপরে। শেষ শটের আগে আমি দেখলাম, মিঠুনদা দূরে পাহাড়ের দিকে চুপ করে তাকিয়ে রয়েছেন। সমস্ত ক্রুদের সরিয়ে দিয়ে। একা। শান্ত। আমি ওঁর কাছে গিয়ে এই বোকা বোকা গল্পটা ওঁকে বলেছিলাম। উনি খুব শান্তভাবে আমায় উত্তর দিয়েছিলেন, 'ঠিকানাটা ঠিক লিখিসনি বোধহয়'। তারপরে আমরা এই ছবিটা তুলেছিলাম। আর উনি স্ক্রিপ্টে এই কথাগুলো লিখে দিয়েছিলেন। এটা যে আমার কী প্রিয়।'
আরও পড়ুন: Tollywood News: বাবার হাত ধরেই প্রথম এসেছিলেন কলকাতায়, এই টলি নায়িকার স্বপ্ন ছিল, 'গরমকালে একটা এসি'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।