Swatilekha Sengupta Death : মা যেন সবার মনে থাকেন, স্বাতীলেখার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কন্যা সোহিনী
প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মেয়ে তথা নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত।
কলকাতা : প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুতে নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। স্বাতীলেখাদেবীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মেয়ে তথা নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত।
এবিপি আনন্দকে তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ছিল। কিডনি ফেলিওর হল। ম্যাসিভ কিডনি ফেলিওর। ২৫ দিন আইসিইউতে ছিলেন। আজ খানিকক্ষণ আগে চলে গেলেন। অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন। আমরা চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু, এটা তো আটকাতে পারে না। সবাই আমাকে ফোন করছেন। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। মা যেন সবার মনে থাকেন। বড় অভিনেত্রী ছিলেন। গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন। মিউজিক নিয়ে পাস করেছিলেন। যেন সবার মনে থাকেন মা।
আজ কিছুক্ষণ আগে প্রয়াত হয়েছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বিগত ২৫ দিন ধরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ দুপুরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন স্বাতীলেখা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
নাট্যমঞ্চ এবং সিনেমা, দুই মাধ্যমেই তাঁর অভিনয় সম্বৃদ্ধ করেছে বাংলার শিল্পকলাকে। সাতের দশকে এলাহাবাদে নাট্যমঞ্চে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী স্বাতীলেখা কলকাতায় আসার পর ১৯৭৮ সালে যোগ দেন নাট্যদল নান্দীকারে। অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্যমঞ্চে সঙ্গীত উপস্থাপনার গুরুদায়িত্বও তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। পিয়ানো এবং বেহালা বাজানোয় পারদর্শিতা ছিল তাঁর।
সত্যজিত রায়ের পরিচালনায় ‘ঘরে বাইরে’-তে বিমলার চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভোলার নয়। নাট্যমঞ্চে পাঞ্চজন্য, বিপন্নতা, নাচনী, অযত্নবাস, পাতা ঝরে যায়-এর মতো বহু নাটকে তাঁর অভিনয় অবিস্মরণীয়। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত বেলাশুরু এবং ধর্মযুদ্ধ ছবি দু’টি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।