'Basu Paribar': দুর্ঘটনার শিকার অঞ্জনবাবু, হাসপাতালে ভর্তি! রক্তের প্রয়োজনে মুখ ফেরাল ছেলেমেয়েরা!
Daily Bengali Serial: বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন বসু পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য অঞ্জন বাবু। তাঁর প্রয়োজন প্রচুর রক্তের। অঞ্জন বাবুকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তারপর?
কলকাতা: সাংঘাতিক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (Arindam Ganguly)। ভর্তি হাসপাতালে। ঠিক কী হয়েছে তাঁর? কোন হাসপাতালে ভর্তি তিনি? না না চিন্তা করবেন না। এমন দিকেই সান বাংলার 'বসু পরিবার' (Basu Paribar) ধারাবাহিকের গল্প মোড় নেবে। কী দেখা যাবে সেখানে?
দুর্ঘটনায় আক্রান্ত অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে অঞ্জন বাবু!
বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন বসু পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য অঞ্জন বাবু। তাঁর প্রয়োজন প্রচুর রক্তের। অঞ্জন বাবুকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু যে সন্তানদের নিজের সবটা উজাড় করে মানুষ করেছেন, বড় করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই ছেলেমেয়েরাই কেউ বাবাকে রক্ত দিতে চায় না। নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে পিছিয়ে যায়। অথচ নীলা নিজের থেকে রক্ত দিতে চায় অঞ্জন বাবুকে। যদিও তার প্রয়োজন পড়েনি আর। কারণ দিপু আগেই বাবার জন্য নিজের রক্ত দিয়েছে। বাবার প্রাণ রক্ষা করাই তো একমাত্র লক্ষ্য তখন।
এদিকে দিপু সেই ছেলেগুলোকে চিনতে পারে যারা অঞ্জনবাবুর রিক্সায় ধাক্কা মেরেছিল। রাগে, বাবার পাশে দাঁড়াতে সে ছেলেগুলোর সঙ্গে মারপিট করে। কিন্তু এই কাণ্ড ঘটানোর জন্য অবশ্যই পুলিশ দিপুকে গ্রেফতার করে। তারপর?
'বসু পরিবার' ধারাবাহিকের গল্প এক ঝলকে
বসু পরিবারের কর্তা অঞ্জনবাবু। টিজারেই স্পষ্ট দেখা যায় কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর অবসরের দিন। কিন্তু এখনও তিনি প্রতি মাসের মাইনে পেলেই ছেলেমেয়েদের উচ্চমানের শখ মেটান। সকলেই তারা ভাল চাকরি করে, নিজেদের আর্থিক সঙ্গতি আছে, তবুও বাবার থেকে সবটা পাওয়াই যেন তাদের কাছে সাধারণ। কারও জন্য দামী ঘড়ি, কারও জন্য বিমানের টিকিট, এমন কত কী! এদিকে নিজের ভাঙা চশমা সারানোর জন্য পর্যন্ত নয়া পয়সা রাখেননি তিনি। অবশেষে স্ত্রীই মনে করিয়ে দেন, যে এই বিলাসিতার দিন ফুরোচ্ছে। অবসরের পর কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করে গর্বিত অঞ্জনবাবুর ভরসা যে শেষ জীবনে তারাই দেখবে বাবা-মাকে। কিন্তু আদতে কি তাই হবে?
ছেলেমেয়েদের বড় করে তুলতে কোনও ত্রুটি রাখেননি অঞ্জনবাবু। তাঁর সকল সন্তানই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। শুধু ছোটছেলে দীপ্তেশ এখনও ঠিকঠাক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারিনি। ছোটখাটো যা কাজ পায় সেটাই সে করে। তবে দীপ্তেশ খুবই পরোপকারী ছেলে। পাড়ার সবাই তাকে ভালবাসে। পরিবারের দুঃসময়ে ছেলেদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু তখনও দীপ্তেশই রয়ে গেল বাবা-মায়ের পাশে। আর সে পাশে পায় নীলাকে। দীপ্তেশ ও নীলা দু'জনে কি পারবে বসু পরিবারের ভাঙন ঠেকাতে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।