Zubeen Garg : জুবিনের নিরাপত্তা আধিকারিকদের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি করে টাকা ট্রান্সফার! গায়কের মৃত্যুতদন্তে বড় মোড়?
Zubeen Garg Death Case: দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা করে জমা পড়েছে। এই টাকা জমা পড়ার বিষয়টি রহস্যজনকই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এমনটাই খবর সূত্রের।

জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘটনায় এবার সামনে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য । ইতিমধ্যেই গর্গের ব্যান্ড মেটদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে এবার যা জানা গেল, তা এক কথায় মোড় ঘুরিয়ে দেওয়াই বটে। অসম পুলিশ প্রয়াত গায়কের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা করে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা জমা পড়ার বিষয়টি রহস্যজনকই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এমনটাই খবর সূত্রের। প্রকাশিত টাইমস নাউ-এর একটি প্রতিবেদনে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে গর্গের মৃত্যু হয়। তিনি একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্যই সে-দেশে গিয়েছিলেন। সেখানে স্কুবা ডাইভিং করার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বলা হলেও, পরে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এর পাশাপাশি, জুবিকের ব্যান্ড সদস্যদের কেউ কেউ দাবি করেন, গায়ককে ষড়যন্ত্র করেই খুন করা হয়েছে। কেউ আবার বলেছেন, তাঁর খিঁচুনির সমস্যা আছে জেনেও, গায়ককে জোর করে মদ খাইয়ে, জাগিয়ে রেখে, স্কুবায় নামানো হয়েছে।
ব্যান্ডের এক সদস্য অভিযোগ করেছেন, জুবিনকে ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত বিষ প্রয়োগ করেছেন। এই ঘটনার তদন্ত করছে নয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) । গর্গের ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী অভিযোগ করেছেন, সিঙ্গাপুরের সমুদ্রে তিনি যখন প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন, আর হাঁপাচ্ছিলেন, তখন ম্যানেজার শর্মা চিৎকার করে বলেন 'জাবো দে, জাবো দে'। অর্থাৎ ওকে যেতে দাও, যেতে দাও। টাইমস নাউ-এর প্রতিবেদনে দাবি, গর্গের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জব্য "ষড়যন্ত্র" করা হয়েছিল। জুবিনের স্ত্রী শেখরের এই দাবি শুনে বলেন , শেখর যদি এটা আগে থেকে জেনেই থাকেন, তাহলে এতদিন কেন লুকিয়ে রেখেছিলেন? যাই হোক, তদন্ত চলছে। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই কঠোরতম শাস্তি পেতে হবে।
জুবিনের ব্যান্ডের আরেক সদস্য পার্থ প্রতিম গোস্বামীর অভিযোগ করেছেন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শেখরকেও দুষেছেন তিনি। তিনি দাবি করেন, এই দুজনই ছায়ার মতো জুবিনের সঙ্গে থাকতেন। তাঁরা জানতেন জুবিনের খিঁচুনির সমস্যা আছে। তাঁকে তাঁরাই আগের রাতে মদ্যপান করায়। ঘুমোতে না দিয়ে পরদিন স্কুবায় যেতে উৎসাহিত করে।






















