Fact Check: এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা ঘটেছিল 'ক্যাপ্টেনের চেয়ারের সমস্যায়', বিস্ফোরক দাবি সোশাল মিডিয়ায়! আদৌ সত্যি?
Air India Flight Fact Check:কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল? তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত ছিল। এরই মধ্যে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

নয়া দিল্লি: ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দু্র্ঘটনা। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল, লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমান। বিমানে থাকা দুশো বিয়াল্লিশ জন আরোহীর মধ্যে দুশো একচল্লিশ জনেরই মৃত্যু হয়েছিল। বিমানটি ভেঙে পড়েছিল একটি ক্যান্টিনেও। আর তার ধ্বংসাবশেষ গিয়ে পড়ে, পাশেই মেডিক্যাল পড়ুয়াদের হস্টেলে। সেখানেও চব্বিশ জনের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল? তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত ছিল। এরই মধ্যে একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে লেখা রয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট Al-171-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার তদন্তে একটি বড় অগ্রগতি ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) তার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা একটি গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটি এবং ককপিট ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে মূল কারণ ছিল- বিমানটি যখন ঘুরছিল সেই সময় ক্যাপ্টেনের আসনটি সরে যায়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, AAIB-এর মতে, বিমানটি ওড়ার সময় ক্যাপ্টেনের আসন হঠাৎ পিছনের দিকে পিছলে যায়, বিমানটি রানওয়ে থেকে ওঠার এক মুহূর্তের ঘটে সেটি। সিট ট্র্যাকের AFT লকিং প্রক্রিয়ার ব্যর্থতার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।
ওই ভাইরাল প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, সিটের এই সমস্যার জন্য ক্যাপ্টেনের শরীর পিছনের দিকে হেলে গিয়েছিল তাই তার ওজন অসাবধানতাবশত থ্রাস্ট লিভারগুলিকে ওই অবস্থায় টেনে আনে। যার ফলে উড়ানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ইঞ্জিনের শক্তি মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। ফার্স্ট অফিসার থ্রটলগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু লিভারগুলিকে বাধাগ্রস্তকারী যান্ত্রিক বল এবং শরীরের ওজন মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হন।
A message circulating on #WhatsApp claims to be the preliminary investigation report of the AI-171 crash by the Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB) #PIBFactCheck:
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) July 10, 2025
❌ This message is #Fake
✅ This report has not been issued by the Aircraft Accident Investigation… pic.twitter.com/XkT5tiKQxg
Fact Check: প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-এর তরফে বলা হয়েছে এই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভুয়ো। কারণ এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো এমন কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।
ডিসক্লেমার: এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে PIB Fact Check, প্রতিবেদনটির অনুবাদ করেছে এবিপি লাইভ বাংলা।






















