চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যে, এত বেশি ওজনের কিশোরের অ্যানাস্থেশিয়া নিয়ে। এজন্য চিকিত্সকরা বিশেষ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন। সফল অস্ত্রোপচারের পর মিহিরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
2/6
জানা গেছে, দু মাসে মিহিরের ওজন ২৩৭ কেজি থেকে ১৯৬ কেজিতে নেমে এসেছিল। ওজন কমতে দেখে কিছুদিন পর পরিবারের লোকজন ফের চিকিত্সকদের কাছে আসেন। ওই সময় তার ওজন আরও ১০ কেজি কমে যায়। কিন্তু এরপর অবহেলার কারণে তার ওজন বাড়তে থাকে। এরপর ওজন কমাতে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
3/6
পরিবারের লোকজন প্রথমে ভেবেছিলেন, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কারণ, বাড়ির সবারই ওজন বেশি। কিন্তু এরপর ভারী ওজনের জন্য মিহিরের এমন অবস্থা হয় যে, সে হাঁটাচলাও করতে পারত না। এরপর চিকিত্সকদের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। চিকিত্সকরা তাকে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শে মেনে চলে মিহিরের ওজন অনেকটা কম হয়।
4/6
২০০৩-এ জন্ম হয় মিহিরের। ওই সময় তার ওজন স্বাভাবিকই ছিল। জন্মের সময় তার ওজন ছিল আড়াই কেজি। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে তার ওজন বাড়তে থাকে। পাঁচ বছর বয়সেই তার ওজন পৌঁছে যায় ৬০-৭০ কেজিতে।
5/6
ওই বয়সের আর পাঁচটা সাধারণ কিশোরের তুলনায় এই ওজন প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। মিহিরই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের কিশোর বলে মনে করা হচ্ছে। ওজন কমাতে তার গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করা হয়। গত কয়েকমাস ধরে সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে মিহিরের চিকিত্সা চলছে। অস্ত্রোপচারের সাহায্যে তার ওজন কমাতে চিকিত্সকরা সফল হয়েছেন।
6/6
রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা ১৪ বছরের মিহির জৈনের ওজন শুনলে চমকে যেতে হয়। অস্ত্রোপচার করে এখন অবশ্য ওজন কমানো হয়েছে।চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, যখন তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তার ওজন ছিল ২৩৭ কেজি।