Meningoencephalitis: মাথার ভিতরে প্রাণঘাতী অ্যামিবা, নিশ্চিত মৃত্যু-মুখ থেকে ফিরল কেরলের কিশোর, কী সেই মারণরোগ?
Brain Eating Amoeba : এই অ্যামিবা একবার মাথায় বাসা বাঁধলে কুরে কুরে খেয়ে নেয় মস্তিষ্ক, তারপর একদিন ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মৃত্যুর খাদে।
কোচি : ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা। কেরলে গত তিন মাসে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার (Brain Eating Amoeba আক্রমণে মারা গিয়েছেন অনেকেই। আসলে এই অ্যামিবা একবার মাথায় বাসা বাঁধলে কুরে কুরে খেয়ে নেয় মস্তিষ্ক, তারপর একদিন ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মৃত্যুর খাদে। কেরলে একের পর এক মৃত্যু হয়েছে এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবার আক্রমণে। কিন্তু তারই মধ্যে স্বস্তি দেবে একটা জীবনে ফেরার খবর। হয়ত এই রোগ থেকে ফিরে আসার ঘটনা খুবই বিরল। তবু এমন একটা ঘটনাও আশা যোগায়।
অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস (meningoencephalitis) নামক এই মারণ রোগ কেড়ে নিয়েছে একাধিক কিশোর-প্রাণ। অবশেষে এই রোগ থেকে সেরে উঠল বছর চোদ্দর একটি ছেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগের মৃত্যুহার প্রায় ৯৭%। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ ঘোষণা করেছেন মঙ্গলবার ওই কিশোরের মারণরোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের কথা ঘোষণা করেন। তাঁর কথায় এই সেরে ওঠা একটি বিরল ঘটনা ! মাথা ব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, সর্দিকাশি, গায়ে ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ দেখা যায় এই অ্যামিবার আক্রমণে। কিন্তু যত দিন যায় উপসর্গগুলো জটিল হয়ে ওঠে।
পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১১ জন এই রোগ থেকে সেরে উঠেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদলকে সাুবাদ জানিয়েছেন। কেরলের মেলাডির প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা উপসর্গ দেখেই সন্দেহ করেছিলেন ছেলেটির মেনিনগোএনসেফালাইটিস হয়ে থাকতেই পারে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তের মৃগীর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তখনই তাঁকে কোঝিকোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রথমে মিল্টেফোসিন জাতীয় ওষুধ চালু করে। এই ওষুধ অ্যামিবা সংক্রমণ আটকাতেই ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং উপলব্ধ চিকিৎসার যথোপযুক্ত ব্যবহারই সেরে ওঠার চাবিকাঠি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, রোগটি অত্যন্ত বিরল , তবে প্রাণঘাতী। এই অ্য়ামিবার আক্রমণ সরাসরি হয় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে। অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয়। যে অ্যামিবা এই রোগের কারণ, তা পাওয়া যায় মূলত হ্রদ এবং উষ্ণ প্রস্রবণের জলে । এই অ্যামিবা নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত সাঁতার কাটার সময় জলের সঙ্গে মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে এই এককোষী। এর আক্রমণ প্রথমে হয় মস্তিষ্কের টিস্যুতে। তারপর তাতে শুরু হয় প্রদাহ। তারপর এক-এক করে টিস্যুগুলোর মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন :
৩ মাসে ৩ মৃত্যু, কতটা বিপজ্জনক হতে পারে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা ?