কলকাতা: হাটে-বাজারে দেখা যায়। অনেকসময় রেস্তোরাঁয় গেলে কোনও কোনও খাবারে এর উপস্থিতি দেখা যায়। চলতি কথায় অনেক জায়গায় একে 'রঙিন ক্যাপসিকাম' বলে ডাকা হয়। আদতে এর নাম বেলপেপার (Bell Peppers)। Capsicum Annuum- প্রজাতির আনাজ এটি। লাল, হলুদ, কমলা এবং আরও একাধিক রঙের বেলপেপার মেলে বাজারে।
রঙের সঙ্গে পুষ্টিও:
বিভিন্ন ধরনের সবজি, স্যালাড (Salad) তৈরি করতে কাজে লাগে বেলপেপার। সুস্বাদু এই আনাজ, বিভিন্ন সময় রান্নার শোভা বাড়াতেও কাজে লাগে। তবে স্বাদ-সৌন্দর্য্যের বাইরেও এই আনাজের পুষ্টিগুণও রয়েছে। বেলপেপার এমন একাধিক পোষকপদার্থের উৎস যার সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট:
বেলপেপার অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে (Anti Oxidants) ভরপুর। এর ফলে এই আনাজ কোষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মস্তিষ্কের জন্য এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ক্যাপসিকাম অর্থাৎ বেলপেপারে কুয়েরসেটিন (Quercetin), ক্যাপাসথিন (Capsanthin), লুটেওলিন (Luteolin) নামক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিপদ কমায়। মস্তিষ্কের কাজ (Brain Function) ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
রয়েছে বি-সিক্স:
ভিটামিন বি-সিক্স (Vitamin B6)-এর অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উৎস বেলপেপার। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও অন্য শারীরবৃত্তীয় কাজ ঠিকমতো হওয়ার জন্যও প্রয়োজন এই ভিটামিন।
ভিটামিন সি-এরও উৎস:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি (Vitamin C)। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রয়োজনীয় হরমোন সেরোটোনিন ক্ষরণের জন্যও প্রয়োজনীয় এই ভিটামিন। লেবুজাতীয় খাবারের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম জাতীয় খাবারও ভিটামিন সি-এর অন্যতম ভাল উৎস।
ওজন কমাতেও সহায়ক?
বেলপেপারে পাওয়া যায় ক্যাপসাইসিন (Capsaicin) নামের একটি রাসায়নিক যৌগ। যা মেদ কমাতে এবং খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরও উপকার:
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, যেকোনও রঙিন আনাজ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে, কোনও ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য় করে। বেলপেপারেও রয়েছে সেরকমই যৌগ ক্যারোটেনয়েড (Carotenoids)।
ত্বক থেকে লিভার, ব্লাড সুগার থেকে স্মৃতিশক্তি-এ সবকিছুই ভাল রাখতে সাহায্য করে বেলপেপারের পুষ্টিগুণ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগ হোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, এই ছোট বিষয়গুলি জানলেই প্রাণরক্ষা হবে রোগীর