Influenza Virus: তীব্র গরমে জ্বর-সর্দিতে ভুগছেন ? কী করলে দ্রুত সেরে উঠবেন ?
H3N2 : বর্তমানে আবহাওয়াও এই ভাইরাসের বিস্তারের জন্য অনুকূল। সেই কারণে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
কলকাতা : ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি প্রধান উপ ভ্যারিয়েন্ট H3N2। ভারতে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই H3N2 কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর হয়ে উঠছে। সারা দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটি সাধারণত ১ থেকে ৩ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কাশির ফোঁটার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে আবহাওয়াও এই ভাইরাসের বিস্তারের জন্য অনুকূল। সেই কারণে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
করোনা ভাইরাসের অনুরূপ একটি নতুন উপ-ভ্যারিয়েন্ট হল H3N2 ভাইরাস। এক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে। যেমন- জ্বর, মাথায় ব্যথা, সর্দি, গলায় ব্যথা, অলসতা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও কাশি-র মতো রোগ। রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল- ধুম জ্বর হওয়া। যা চার থেকে আট দিন স্থায়ী হচ্ছে। দুই সপ্তাহ সর্দি-কাশি থাকে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অস্থিরতা, মাথায় ব্যথা, বমি বমি ভাব, অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়। কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ এবং ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের ক্লান্তি এক সপ্তাহ ধরে থাকতে পারে। পেশির গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যদিও বেশিরভাগ লোক এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। পুরোপুরি সেরে উঠতে অবশ্য কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলতে পারেন-
বিশ্রাম নিন-
যখন আমাদের শরীরের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের পুনরায় বৃদ্ধির জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়া খুব প্রয়োজন। অসুস্থ হলে শরীরে শক্তি কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
বেশি করে জল পান করুন-
শরীরের এবং পেশির ব্যথা কমাতে প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। হাইড্রেশন পেশি সুস্থ রাখে।
গরম জলে স্নান করুন-
মানসিক ও শারীরিক চাপ কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল উষ্ণ জলে স্নান করা। এমনটা করলে শরীরে রক্ত সরবরাহ বেড়ে গিয়ে আরও আরাম হতে পারে।
গরম জলের ভাপ ও গার্গল-
স্টিম ইনহেলেশন বুকের ব্যথার সমস্যা কমাতে পারে। এছাড়া নুন জল দিয়ে গার্গল করলে গলার ফোলাভাব কমে যায়।
নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না-
নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না। লক্ষণ দেখা গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজে ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )