Covid Vaccine Third Dose: ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিলে ওমিক্রনের আশঙ্কা ৮৮% কমে, বলছে গবেষণা
Omicron Update: বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন। ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের গবেষণায় নতুন তথ্য জানা গেল।
নয়াদিল্লি: করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ যথেষ্ট নয়, তবে তৃতীয় ডোজ নিলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৮৮ শতাংশ কমে যায়। এমনই বলছে ব্রিটেনের একটি গবেষণা। এই গবেষণা অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ৬ মাস পর কার্যকারিতা হারাচ্ছে। সেখানে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম।
এই গবেষণার কথা উল্লেখ করে ইউকে হেলথ সিকিওরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ ওমিক্রন প্রতিরোধে খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট মোকাবিলায় দু’টি ভ্যাকসিনই যথেষ্ট ছিল, কিন্তু ওমিক্রন ঠেকাতে তৃতীয় ডোজ প্রয়োজন। তবে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা আশঙ্কাজনক অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে অনেকটাই কম। যাঁদের ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজই নেওয়া আছে, তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও, দু’টি ডোজ নেওয়া আক্রান্তদের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা ৮১ শতাংশ কম।
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি যাদের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও, ডেল্টার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম।
ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের শরীরে উপসর্গ আছে, তাঁদের যদি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়া থাকে, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা দু’টি ডোজ নেওয়া ওমিক্রন আক্রান্তদের তুলনায় ৬৮ শতাংশ কম।
এই গবেষণায় ভারতীয়দের জন্য আশার কথা জানানো হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, যাঁরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন (ভারতে যা কোভিশিল্ড) নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পাঁচ মাস পরেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যাঁরা ফাইজার বা মডার্না ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে কার্যকারিতা ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ থেকে কমে ১০ শতাংশে নেমে যাচ্ছে।
এই কারণেই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার উপর জোর দেওয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। ভারতে অবশ্য এখনও সবার জন্য বুস্টার ডোজের কথা ঘোষণা করা হয়নি।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )