Polycystic Ovary Syndrome: ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা ভোগেন এই রোগে, আদৌ কি সারে ?
Polycystic Ovary Syndrome Lifestyle Changes: ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা ভোগেন এই রোগে, আদৌ কি কি সেরে যায় ? জীবনযাপনে কী কী বদল আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব?
কলকাতা: মহিলাদের মধ্যে বর্তমানে এই রোগটি প্রায়ই দেখা যায়। পরিসংখ্যান বলছে, ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা ভোগেন এই রোগে। পিসিওস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। এই রোগটি কি আদৌ সারে? সারলে নিজের থেকেই সারে না ওষুধের প্রয়োজন পড়ে ?
পিসিওস-কে বিশেষজ্ঞদের একাংশ লাইফস্টাইল ডিজিজের তালিকাতেও গণ্য করে থাকেন। অর্থাৎ রোজকার জীবনযাপনের ধারা এই রোগের জন্য অনেকটা দায়ী। এই রোগের বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যায়।
পিসিওস-এর লক্ষণ (signs of PCOS)
- এই সমস্যায় আক্রান্ত মহিলাদের জরায়ুতে সিস্ট তৈরি হয়। একাধিক ডিম্বাণু জমতে জমতে এই সিস্ট গঠন হয়। তাই একে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নাম দেওয়া হয়েছে। তাই রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ সিস্ট।
- পিসিওস হলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে। দুই পিরিয়ডের মধ্যে দিনসংখ্যার তফাত একই থাকে না। কখনও বাড়ে কখনও কমে যায়।
- ব্রণ দেখা দেয়। সাধারণত ব্রণ একটি বয়সের পর আর হয় না। কিন্তু পিসিওস থাকলে ব্রণর সমস্যা থেকে যায়।
- চুল পাতলা হয়ে আসে। পিসিওস-এর একটি বড় লক্ষণ এটি। প্রায়ই চুল ওঠে। চুল পাতলা হয়ে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
- ওজন বাড়তে থাকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে। পিসিওস-এর একটি বড় লক্ষণ। তবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ওজন কবজায় রাখা যায়।
পিসিওস-এর কারণ (PCOS causes)
রোগটির কারণ খুঁজতে একাধিক গবেষণা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়াই রোগটির বড় কারণ। যার পিছনে মূলত জীবনযাপনের কায়দা অনেকটা দায়ী থাকে।
পিসিওস কী সারে (Can PCOS be cured) ?
পিসিওস সমস্যা পুরোটা সারিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তবে এর বিভিন্ন লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জীবনযাপনের কায়দায় কিছু বদল আনলেই তা সম্ভব হয়।
জীবনযাপনে কী কী বদল আনা জরুরি (PCOS lifestyle changes) ?
- ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলতে হবে - এই ধরনের খাবার আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া হরমোনের স্বাভাবিক ভারসাম্যও নষ্ট করে। তাই এই খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। পাশাপাশি কফিও এড়িয়ে চলতে হবে।
- কৃত্রিম চিনি ও রঙযুক্ত খাবার এড়ান - কৃত্রিম চিনি ও রঙযুক্ত খাবার শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। পাশাপাশি এগুলি হরমোনের স্বাভাবিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
- ফল ও শাকসবজি - ফল ও শাকসবজি পাতে বেশি করে রাখুন। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভূমিকা পালন করে। ফল ও শাকসবজির মধ্যে টমেটো, বাঁধাকপি, পালংশাকের মতো পাতাযুক্ত শাক বেশি করে খেতে পারেন।
আরও পড়ুন - চিউইংগাম চিবোনো ভাল ? কখন, কীভাবে চিবোলে উপকার ?
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )