কলকাতা: আজকের দিনে কাজের ব্যস্ততায় নিজের দিকে তাকানোর সময় থাকে না বহু মানুষের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজে ডুবে থাকতে হয়। করোনা পরিস্থিতির পর কাজের ব্যস্ততার মাত্রাটা আরও বেড়েছে। চেয়ার, টেবিলে সারাদিন বসে কাজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রয়েছে সারাদিন। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। বিশেষজ্ঞরা জানান যে, হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত সঠিক খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে শরীরচর্চা। নাহলে দেখা দিতে পারে একাধিক অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেরই কাজের চাপের কারণে নিয়মিত শরীরচর্চা (Exercise) করার সময় থাকে না। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই সঠিক নয়। কাজের জায়গায় বসেও যে শরীরচর্চাগুলি অনায়াসে করতে পারেন, সে সম্পর্কে বিশদে জানাচ্ছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Yoga) আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। এমনই কিছু যোগাসন রয়েছে, যা কাজের জায়গায় বসেও করা যায়। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-
১. প্রথমে চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে। এবার দুহাতের তালু একে অপরের সঙ্গে ঘষে নিন। তারপর দুহাতের তালু রাখুন চোখের পাতার উপর। উষ্ণতা অনুভব করুন। কয়েক মুহূর্ত রাখার পর হাত চোখের উপর থেকে তুলে নিন। আর চোখদুটিতে আরাম অনুভব করুন। এভাবেই ৬ থেকে ৭বার একই পদ্ধতি মেনে করতে থাকুন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারাদিন কাজের চাপে চোখে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। চোখের পেশিকে সচল রাখতে, চোখে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে চোখের ব্যায়াম করা খুবই জরুরি।
২. চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। এবার চোখদুটিকে বড় করে খুলুন। এবার দ্রুত ১০বার পলক ফেলুন। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিন। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড পর ফের একইরকমভাবে করুন। এভাবে ৫ থেকে ৬ বার এই ব্যায়াম করতে থাকুন।
আরও পড়ুন - Depression: ফল খেলে কি অবসাদ দূরে থাকে?
৩. প্রথমে ডান হাত মুঠো করুন। বাঁহাত দিয়ে ডানহাতের কব্জিটি ধরুন। এবার ডান হাতের মুঠো প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে ১০বার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ১০বার ঘোরাতে থাকুন। একইরকমভাবে বাঁহাতেও অভ্যাস করুন।
৪. চেয়ারে বসে থাকাকালীন দুহাত দিয়ে চেয়ারের পিছনের অংশ ধরুন। এবার সেই অবস্থাতেই তলপেট ও বুক একদিকে আস্তে আস্তে ঘোরাতে থাকুন। ফের অন্যদিকে একইরকমভাবে অভ্যাস করুন। এতে শিরদাঁড়ার জোর বাড়বে।
৫. চেয়ারে সোজা হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে প্রাণায়ামও করতে পারেন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।