Covid Relief Work : কোভিডে সাহায্য, ১৪ মাসে ১৫ কোটি 'ফ্রি মিল' ISKCON-এর
কোভিডকালে সঙ্কট মেটাতে ত্রাতার ভূমিকায় 'ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস' (ISKCON)। সংস্থার দাবি, গত ১৪ মাসে ১৫ কোটি 'ফ্রি মিল' দিয়েছে তারা। আগামী দিনেও তাদের এই কাজ জারি থাকবে।
কলকাতা : কোভিডকালে সঙ্কট মেটাতে ত্রাতার ভূমিকায় 'ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস' (ISKCON)। সংস্থার দাবি, ১৪ মাসে ১৫ কোটি 'ফ্রি মিল' দিয়েছে তারা। আগামী দিনেও তাদের এই কাজ জারি থাকবে।
সংস্থার কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস বলেন, ''কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে দেশবাসীর। সে কারণে গত ১৪ মাসে ১৫ কোটি ফ্রি মিল পরিষেবা দিয়েছে ইসকন। কোভিড ত্রাণের মাধ্যমেই এই কাজ করেছে সংস্থা।'' সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রাধারমন দাস জানান, এবার অনেকের পুরো পরিবারই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময় তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া খুবই কঠিন কাজ। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসকন। কোভিডে আক্রান্তদের রান্না করা খাবার পাঠানো হচ্ছে সংস্থার তরফে। এ ছাড়াও প্রবীণ নাগরিক ও গর্ভবতী মহিলাদেরও বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করছে (ISKCON)।
বর্তমানে কলকাতায় তিনটে কেন্দ্র রয়েছে ইসকন-এর। গুরুসদয় রোড, দমদম ও নিউটাউন কেন্দ্র থেকেই এই বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। দাস জানিয়েছেন, এই তিনটি কেন্দ্রে রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতার এই তিনটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৫,০০০ ফ্রি মিল দেওয়া হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কথা মাথায় রেখে উপকূলবর্তী এলাকায় বিনামূল্যে খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেবে ইসকন।
ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই কাজে নামবে সংস্থা। উপদ্রুত এলাকায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ইসকন। ইতিমধ্যেই গণরান্নার জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত করা করা হয়েছে। ইসকনের প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে ৬০,০০০ ফ্রি মিল তৈরি করার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান ইসকনের কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। ত্রাণের কাজে কোনও সমস্যাই হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ বিপাকে ফেলেছে দেশবাসীকে। অনেক ক্ষেত্রেই কাজ হারিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দিনমজুররা। প্রতিদিনের খাবার জোগানোই এখন তাদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় ফেলেছে এই পরিবারগুলিকে।