এক্সপ্লোর
নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে ২৭০০ হাতিকে ’আধার কার্ড‘
টমাসের মতে, জেনেরিক ম্যাপিংয়ের ফলে হাতিগুলির অবস্থান সহজে জানা যাবে এবং তাদের খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি কেরলে হাতির উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই নৃশংস ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে অভিনব পথ নিয়েছে প্রশাসন। বন্দি হাতিদের ক্যাপটিভ এলিফ্যান্ট----যে সব হাতি চিড়িয়াখানা, সার্কাস বা কোনও ক্যাম্পে রয়েছে) ’আধার কার্ড‘ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এর ফলে কুনকি হাতিগুলিকে চিহ্নিত করা সহজ হবে এবং তাদের উপর যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা রোখা যাবে।
দেশের অন্তত ২৭০০ কুনকি হাতি ’আধার কার্ড‘ পেতে চলেছে। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সূত্রের খবর, হাতিগুলির রক্ত ও মলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের ডিরেক্টর নোয়েল টমাস জানিয়েছেন, প্রতিটি হাতিকে একটি করে কার্ড দেওয়া হবে। ওই কার্ড অনেকটা আধার কার্ডের মতো। হাতিগুলির ডিএনএ-র ভিত্তিতে তা তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, ’’জেনেরিক ম্যাপিংয়ে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে হাতির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কাদের নিয়ন্ত্রণে হাতিগুলি থাকবে তা রাজ্যের বন্যপ্রাণ দফতরের প্রধান অনুমোদন করবেন। ওই কার্ডের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে, সব বন্দি হাতি রাজ্য বন দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে এবং হাতির উপরে অত্যাচারের ঘটনাও কমবে।‘‘
বর্তমানে ভারতে সব চেয়ে বেশি বন্দি হাতি রয়েছে অসমে। সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। তারপর রয়েছে কেরল (৫০০) এবং তামিলনাড়ু (৩০০)তে। ২০১৮ সালে প্রথম জেনেরিক ম্যাপিং শুরু হয়েছিল কেরলে।
টমাসের মতে, জেনেরিক ম্যাপিংয়ের ফলে হাতিগুলির অবস্থান সহজে জানা যাবে এবং তাদের খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
POWERED BY
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আইপিএল
খবর
খবর
আইপিএল
Advertisement
