মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই বাঁকুড়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ৮০টি পরিবার!
বাঁকুড়া জেলার বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, " মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ বুঝে গিয়েছে, এরা কোনও উন্নয়ন করেনি। সুলুকপাহাড়িতে যখন মমতা দলীয় সভা করছেন, তখনই এই দল ছেড়ে মানুষ বেরিয়ে আসছেন।"
বাঁকুড়া: শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ তৃণমূলের কর্মীদের। বাঁকুড়ায় চারদিনের জেলা সফরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দোরে দোরে প্রশাসনকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, কেন্দ্রের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করছেন, ঠিক তখনই তাঁর দলে বড়সড় ভাঙনের খবর। বিজেপির দাবি, বুধবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে শালতোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি এলাকার ৬০ ও ২০ টি পরিবারের সদস্য তাদের দলে যোগ দিয়েছে। বিজেপিতে যোগদানকারী তৃণমূল সমর্থক অসিত বরণ ধীবর বলেন, "তৃণমূল করতাম। এরা অত্যাচার করছে। বিজেপি উন্নয়ন করছে। তাই আমরা বিজেপি এলাম।"
বাঁকুড়া জেলার বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, " মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ বুঝে গিয়েছে, এরা কোনও উন্নয়ন করেনি। সুলুকপাহাড়িতে যখন মমতা দলীয় সভা করছেন, তখনই এই দল ছেড়ে মানুষ বেরিয়ে আসছেন।" বিজেপির এই দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কালীপদ রায় বলেন, "এরা সক্রিয় কর্মী নয়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আমাদের কেউ যোগদান করেননি। পুরোটাই মিথ্যে। ইচ্ছা করেই এসব প্রচার করছে বিজেপি।" বিজেপি মিথ্যা বলে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভোটের আগে তৃণমূল-বিজেপি দু’দলই কার্যত যোগদান শিবির খুলেছে। কিন্তু, আদতে কে কার দিকে যাচ্ছে, তার উত্তর মিলবে ভোটযন্ত্রেই।