Andhra Pradesh: মন্দির গড়ে প্রয়াত স্বামীর পুজো করেন স্ত্রী
চার বছর আগে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আঙ্কিরেড্ডির। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছিলেন পদ্মাবতী। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও স্বামীর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
প্রকাশম (অন্ধ্রপ্রদেশ): মন্দির গড়ে প্রয়াত স্বামীর মূর্তিকে পুজো করেন এক মহিলা। এমনই এক অভিনব ঘটনার খবর সামনে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। ওই মহিলার নাম পদ্মাবতী। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হিসেবে তিনি ছোট থেকেই দেখে এসেছেন যে, তাঁর মা পুজো করেন বাবাকে। নিজের জীবনেও পদ্মাবতী একই পথ বেছে নিয়েছেন। আঙ্কিরেড্ডি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেপদ্মাবতীর বিয়ে হয়েছিল।কিন্তু চার বছর আগে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আঙ্কিরেড্ডির। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছিলেন পদ্মাবতী। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও স্বামীর মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।তারপর থেকে মন্দির গড়ে স্বামীর মূর্তিকে পুজো করেন তিনি।
এর কারণ জানতে চাওয়া হলে পদ্মাবতী জানিয়েছেন, মৃত্যুর কিছুদিন পরেই তাঁর স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন আঙ্কিরেড্ডি। স্বামীর কাছ থেকেই তাঁর মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন পদ্মাবতী। কীভাবে স্বামীর জন্য মন্দির গড়েছেন তা জানিয়ে পদ্মাবতী বলেছেন, তিনি তাঁর প্রয়াত স্বামীর একটি মার্বেলের মূর্তি গড়েন এবং তারপর থেকেই পুজো করে আসছেন। পদ্মাবতী জানিয়েছেন, যখন স্বামী বেঁচেছিলেন, তখনও তিনি তাঁকে দেবতা হিসেবে গন্য করতেন।
পদ্মাবতী জানিয়েছেন, আঙ্কিরেড্ডির জন্মদিন সহ বিশেষ দিনগুলিতে পুজো ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। স্বামীর জন্য তৈরি করা মন্দিরে প্রতি পূর্ণিমায় দরিদ্রদের খাবার দান করেন তিনি। পদ্মাবতীর ছেলে শিবশঙ্কর রেড্ডি আঙ্কিরেড্ডির বন্ধু তিরুপতি রেড্ডির সাহায্যে এই সব কাজ করেন। শিবশঙ্কর রেড্ডি বলেছেন, এমন বাবা-মার সন্তান হতে পেরে তিনি নিজেকে আশীর্বাদ ধন্য বলে মনে করেন।
উল্লেখ্য, একই ধরনের একটা ঘটনার কথা জানা গিয়েছে তেলঙ্গানাতেও। সেখানে এক নাতি দাদুর জন্য মন্দির গড়েছেন। ভিকারাবাড় গ্রামের নাভালগা গ্রামের বাসিন্দা মোগুলাপ্পার কোনও সন্তান ছিল না। তিনি তাঁর ছোট নাতিকে দত্তক নিয়েছিলেন। নিজের সন্তানের মতো করে তাকে মানুষ করেন মোগুলাপ্পা। ২০১৩-তে মারা যান মোগুলাপ্পা। এই মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁর নাতি। এরপর দাদুর স্মৃতিতে একটি মন্দির গড়েন নাতি। মোগুলাপ্পার নাতি ঈশ্বর বলেছেন, এই মন্দির গড়তে সব মিলিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।