এক্সপ্লোর
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Delhi Police: দিল্লি, পঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়িতে চুরির রহস্য ফাঁস, গ্রেফতার ৫
Delhi police have arrested gang members of ‘Band Baaja Baraat’. | তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চোরাই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আটটি বিয়েবাড়িতে চুরির রহস্য সমাধান হয়েছে।
![Delhi Police: দিল্লি, পঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়িতে চুরির রহস্য ফাঁস, গ্রেফতার ৫ Band Baaja Baraat Gang Members Who Attended Weddings To Steal, Arrested, Here Is How They Worked Delhi Police: দিল্লি, পঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়িতে চুরির রহস্য ফাঁস, গ্রেফতার ৫](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/12/05172951/band.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজাতে গিয়ে চুরি করাই ছিল লক্ষ্য। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল একটি চক্র। অবশেষে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই নাবালকও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকদের মধ্যে রয়েছে সন্দীপ (২৬), হংসরাজ (২১), সন্ত কুমার (৩২), কিষাণ (২২) ও বিশাল (২০) নামে পাঁচজন। তারা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার গুলখেরি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়েবাড়ির মরসুমে তারা দিল্লি, এনসিআর সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াত। বিয়েবাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণেই চলে যেত তারা। বাজনা বাজানোর ফাঁকেই চুরি করে সেখান থেকে পালাত। দলে যে নাবালকরা থাকত, চুরির কাজে তাদেরই ব্যবহার করা হত। গ্রাম থেকে বাছাই করে ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সি ছেলেদের নিয়ে আসা হত। চুরির দক্ষতার উপর তাদের চুক্তির অঙ্ক নির্ভর করত। এক বছরের জন্য ওই নাবালকদের বাবা-মাকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হত। গ্রাম থেকে নিয়ে আসার পর নাবালকদের এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। বিয়েবাড়িতে লোকজনের সঙ্গে মিশে গিয়ে কীভাবে হাতসাফাই করতে হবে, সেটাই শেখানো হত নাবালকদের। তাদের আরও শেখানো হত, কখনও ধরা পড়লে দলের কারও নাম বলা চলবে না।
দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শিবেশ সিংহ জানিয়েছেন, ‘এই চক্রের সদস্যরা ভাল পোশাক পরে বিয়েবাড়িতে যেত। তারা অন্য অতিথিদের সঙ্গে মিশে থাকত। বিয়েবাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণেই খাওয়ার পর তারা চুরি করার জন্য মোক্ষম মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকত। ঠিক সময় বুঝে গয়না ও টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে সেখান থেকে সরে পড়ত তারা।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়ি থেকে চুরির অভিযোগ আসতে থাকায় অপরাধীদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়। বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ব্যাঙ্কোয়েট হল, ফার্মহাউস সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। বিয়েবাড়িগুলির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, চুরি করার আগে বিয়েবাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাত এই চক্রের সদস্যরা। তারা সেখানে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে আলাপ করত, সবার সঙ্গে মিশে থাকত, খাওয়া-দাওয়া করত। তারপর তারা সুযোগ বুঝে চুরি করত।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চোরাই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আটটি বিয়েবাড়িতে চুরির রহস্য সমাধান হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা, একটি রুপোর কয়েন এবং দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি, লুধিয়ানা, জিরাকপুর ও চণ্ডীগড় থেকে এসব চুরি করা হয়েছে। জেরার মুখে ধৃতরা জানিয়েছে, তারা দিল্লি, চণ্ডীগড় সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করেছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার খবর
পুজো পরব
খবর
ক্রিকেট
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)