(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Parliament's Monsoon Session:সংসদের আসন্ন অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হতে পারে আলোচনা
সূত্রের খবর, রাকেশ সিংহ, অনিল অগ্রবাল, হরনাথ সিংহ যাদবদের মতো বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদরা সংসদের আসন্ন অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করতে পারেন।
নয়াদিল্লি: সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইন প্রণয়নের দাবিতে সরব হতে পারেন কয়েকজন সাংসদ। এজন্য তাঁরা প্রাইভেট মেম্বার বিল এনে এ ব্যাপারে আলোচনার দাবি জানাতে পারেন। সূত্রের খবর, রাকেশ সিংহ, অনিল অগ্রবাল, হরনাথ সিংহ যাদবদের মতো বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদরা সংসদের আসন্ন অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করতে পারেন।
বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিংহ যাদব বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি জানিয়ে তিনি রাজ্যসভায় প্রাইভেট মেম্বার বিল আনবেন। তিনি বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলে দুটির বেশি সন্তান থাকলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না, এই ধারার উল্লেখ থাকা উচিত।
হরনাথ সিংহ যাদব বলেছেন, দুটির বেশি সন্তান থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নিষিদ্ধ করা উচিত। আইন না মানলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, রাজ্যস্তরেই নয়, কেন্দ্রীয় স্তরেও এ ধরনের আইন থাকা উচিত।
বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ আরও বলেছেন, ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে এই আইন প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, এই আইন হওয়া উচিত দেশের স্বার্থে।
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ রাকেশ সিংহ ২০১৯-এ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করেছিলেন। ওই বিল নিয়ে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। রাকেশ সিংহ মনে করেন, সমগ্র দেশের জন্য এ ব্যাপারে একটি আইন করা উচিত। সেইসঙ্গে ওই আইনে উল্লেখ থাকা উচিত যে, আইন প্রণয়নের ১৮ মাস পর পর্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। ওই সময় জনগনকে এ ব্যাপারে সচেতন করার রাজে লাগাতে হবে। ১৮ মাস পর যাঁরা আইন মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সীমিত করা ও নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধের মতো ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এখনই সামলানো না গেলে, ২৮-৩০ বছরের মধ্যে জনবিস্ফোরণের ফলে সম্পদের অভাবের মতো পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।