এক্সপ্লোর
Advertisement
প্লাজমা দান করতে চান কণিকা কপূর, নমুনা পরীক্ষার জন্য দিলেন রক্ত
প্লাজমা দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা বলিউড গায়িকা কণিকা কপূর। করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনটাই খবর আধিকারিকদের সূত্রে। লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (কেজিএমইউ)-তে নমুনা পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
লখনউ: প্লাজমা দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা বলিউড গায়িকা কণিকা কপূর। করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনটাই খবর আধিকারিকদের সূত্রে। লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (কেজিএমইউ)-তে নমুনা পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কেজিএমইউ-র ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান তুলিকা চন্দ্র জানিয়েছেন, সোমবার হাসপাতালের চিকিত্সকদের কাছে গায়িকা কণিকা কপূর প্লাজমা দানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডাকা হয় এবং পরীক্ষার জন্য তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁকে প্লাজমা দান করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।
হাসপাতালে করোনা চিকিত্সার পর যাঁরা সেরে উঠেছেন, তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজন প্লাজমা দান করেছেন। তাঁরা হলেন, কেজিএমইউ-র আবাসিক চিকিত্সক তৌসিফ খান, কানাডার এক মহিলা চিকিত্সক ও অন্য এক রোগী।
গত ২০ মার্চ কণিকার করোনা টেস্ট পজিটিভ হয়। এরপর ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে না থাকা ও গাফিলতির জন্য নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
গতকাল ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন তিনি।
এই পোস্টের মাধ্যমে নিজের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাক্রম বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। নিজের পক্ষে সওয়াল করে বিবৃতি জারি করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে কণিকার সাফাই, আমি যখন লন্ডন থেকে মুম্বইতে এসেছিলাম, তখন কোয়ারেন্টিনে থাকার কোনও নির্দেশ আমাকে দেওয়া হয়নি। এরপর মুম্বই থেকে যখন লখনউতে আসি, তখনও আমার করোনার কোনও লক্ষ্মণই ছিল না।
বলিউডের বেবি ডল সিঙ্গারের দাবি, তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। সেজন্য তিনি কয়েকটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। নিজে থেকে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজনও তিনি করেননি বলে দাবি করেছেন কণিকা। গত ১৭ মার্চ তাঁর কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি নিজে থেকেই টেস্ট করাতে বলেন। টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
কণিকা লেখেন, তিনটি টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার পর আমাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তখন থেকে ২১ দিন আমি বাড়িতেই রয়েছি। আমি চিকিত্সক ও নার্সদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আমার চিকিত্সা করেছেন। আমার আশা, প্রত্যেকেই সততা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারবেন। কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা বাস্তবটা বদলে দিতে পারে না।
এদিকে, কেজিএমইউ-তে সোমবার প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে কোনও রোগীর প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন। যাঁর প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে, তিনি ৫৮ বছরের এক চিকিত্সক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইসিএমআর রাজ্যগুলিকে প্লাজমা থেরাপির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর অনুমতি দিয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement