(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Delhi Covid Crisis:শেষমুহূর্তে পৌঁছল অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার, প্রাণ বাঁচল ৫০০ গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তর
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওই হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ প্রায় ৫০০ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। কিন্তু যে পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে, তাতে মাত্র ঘণ্টা চারেক কাজ চালানো যাবে। এক্ষেত্রে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুষ গয়ালের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন।
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সন্ধেতেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যাপক অভাবের কথা জানিয়েছিলেন। দিল্লির যে হাসপাতালগুলিতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে, তার মধ্যে অন্যতম এই গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওই হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ প্রায় ৫০০ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। কিন্তু যে পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে, তাতে মাত্র ঘণ্টা চারেক কাজ চালানো যাবে। এক্ষেত্রে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুষ গয়ালের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধেয় তিনি বলেছিলেন, হাসপাতালে যে অক্সিজেন রয়েছে, তা রাত ২ টোর আগেই শেষ হয়ে যাবে।
হাসপাতালে সবাই তখন আশঙ্কার প্রহর গুণছেন।আর আধ ঘণ্টা পরেই ফুরিয়ে যাবে অক্সিজেন। আর ঠিক সময়েই হাসপাতালে পৌঁছল একটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রাণ বাঁচানো গেল ৫০০ করোনা আক্রান্তর।
গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালের এই চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ততক্ষণে আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম । সময় ফুরিয়ে আসছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০০ রোগী এই সংকটের কথা জেনে যান, এটা আমরা একেবারেই চাইনি। আমরা তখন অত্যাশ্চর্য কিছু ঘটনার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। তখনই দেখলাম, হাসপাতাস চত্বরে এসে পৌঁছল ওই অক্সিজেন ট্যাঙ্কার। তা দেখে আমাদের সবার চোখে জল চলে এসেছিল।
দেশের চলতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেরো সার্ভেতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাবের সমালোচনা করেছেন।
ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, সারা বিশ্বে ভারতে অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষমতা বৃহত্তম। তাহলে এক্ষেত্রে এত ঘাটতি কেন?
প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে সরকারের কাথে ৮-৯ মাস সময় ছিল। সরকারের সেরো সার্ভেতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত ছিল। তারপরও আশঙ্কা উপেক্ষা করা হয়েছে। এখন দেশে মাত্র ২০০০ ট্রাক অক্সিজেন পরিবহণ করতে পারে। অক্সিজেন পর্যাপ্ত থাকলেও তা যথাস্থানে পৌঁছচ্ছে না, এটা খুবই দুঃখজনক।