Dhaka Flight Pilot Heart Attack: কলকাতার আকাশসীমায় ঢোকার পর হৃদরোগে আক্রান্ত মাসকট-ঢাকা উড়ানের পাইলট, নাগপুরে জরুরি অবতরণ
সহকারী পাইলটের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা।
সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: মাঝ আকাশেই হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন পাইলট। মাসকট থেকে ঢাকাগামী বিমানে আতঙ্ক। সহকারী পাইলটের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। এদিন কলকাতার আকাশসীমায় ঢোকার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন আন্তর্জাতিক উড়ানের পাইলট। কলকাতা এটিসি-র সহায়তায় নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান সহকারী পাইলট।
ম্যাসকট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বিমানে বিপত্তি। মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হন পাইলট। কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তত্পরতায় কোনওরকমে রক্ষা। নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ বিমানের। শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশসীমায় ঢোকার পর বিমান বাংলাদেশের বোয়িং ৭৩৭-এর পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তিনি প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। বিমানটি তখন ছত্তীসগড়ের রায়পুরের আকাশে।
বিমানের কো পাইলট যোগাযোগ করেন কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। পরিস্থিতি তখন গুরুতর। কো পাইলট প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়ে গেছেন। তখন কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশে রায়পুর থেকে বিমানটিকে কাছাকাছি নাগপুর বিমানবন্দরে যেতে বলা হয়। এরপর কো পাইলট কোনও রকমে নাগপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানটিকে নামান।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানের বাংলাদেশী পাইলটকে ভর্তি করা হয়েছে নাগপুরের এক হাসপাতালে।
মাঝ আকাশে পাইলটের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা কো পাইলটের বিমান অবতরণ করানোর মতো ঘটনা এ দেশে খুব একটা ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন পাইলটদের একাংশ।
করোনার দ্বিতীয় ডেউ আছড়ে পড়ায় বেশ কিছুদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ফের দু’দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের উড়ান ভারতে আসছে। এখন সপ্তাহে তিনদিন কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে বিমান চলছে। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতি সপ্তাহে দু’বার উড়ান চলছে। কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার উড়ানের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে রবিবার ও বুধবার উড়ান শুরু হয়েছে।