Live updates: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা বহাল, রাজ্যপালের কাছে বিজেপি প্রতিনিধিদল, দল ভাঙানোর আশঙ্কায় বিধায়কদের হোটেলে সরিয়ে দিয়েছে শিবসেনা?
LIVE
Background
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের উদ্যোগের সঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে জড়ানো উচিত নয়। বললেন নিতিন গডকরী। এ ব্যাপারে চলতে থাকা জল্পনা খারিজ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় পথ পরিবহণমন্ত্রী আজ নাগপুর এসেছেন সরকার গঠন ঘিরে শিবসেনা, বিজেপির যার যার অবস্থানে অটল থাকার মধ্যেই। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ সহ মন্ত্রিসভার দপ্তর সমান ভাগে বন্টনের দাবিতে যেমন শিবসেনা অনড়, অন্যদিকে বিজেপিও মুখ্যমন্ত্রী পদে তাদের দাবি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়নি। সংবাদ সংস্থার খবর, গডকরীর নামও মুখ্যমন্ত্রী পদে হাওয়ায় ভাসছে। যদিও তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা খারিজ করে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য রাজনীতিতে ফিরছেন না। মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে তিনিও আছেন কিনা, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গডকরী বলেন, আমি দিল্লিতে রয়েছি। রাজ্য রাজনীতিতে ফেরার কোনও প্রশ্নই নেই। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট দ্রুত কেটে যাবে।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন ঘিরে অচলাবস্থা দূর করতে শীঘ্রই কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়ে গডকরী বলেন, ফঢ়নবিশই নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপি একাই ১০৫টি আসন পেয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদ তার পাওয়াটাই স্বাভাবিক। জনগণ রাজ্যে বিজেপি, শিবসেনা সরকার গঠনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আমরা শিবসেনার সমর্থন পাব। ওদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চলছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, চলতি ঘটনাবলীর (সরকার গঠনের প্রয়াস) সঙ্গে আরএসএস প্রধানের যোগ দেখানো ঠিক হবে না।
মহারাষ্ট্রে যদিও সরকার গঠনে জটিলতা কাটার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় বিধায়ক সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও মন্তিত্ব ভাগের প্রশ্নে মতভেদ চলছে জোটের দুই শরিকের মধ্যে। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি ১০৫টি, শিবসেনা ৫৬টি আসন পেয়েছে। শিবসেনার দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে হওয়া বোঝাপড়া অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী পদ ও অন্যান্য দপ্তর ৫০-৫০ অনুপাতে ভাগ করতে হবে। আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ চাই তাদের। বিজেপি তাতে নারাজ। এই প্রেক্ষাপটে আজ বিজেপি প্রতিনিধিদল দেখা করতে যাচ্ছে রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে। নেতৃত্ব দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল ও অর্থমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার।