কেন এত বেশি জরিমানা? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকড়ী
নতুন আইনে জরিমানা কেন এত বেশি করা হল?
নয়াদিল্লি: ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে চালু হয়েছে নতুন মোটর ভেহিকেল আইন। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। ‘জরিমানা খুব বেশি’, এই যুক্তিতেই কেন্দ্রের আইন চালু হয়নি এই রাজ্যে। তৃণমূল এনডিএ সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করেছে। এছাড়াও কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও পঞ্জাবও এই আইন কার্যকর করতে অস্বীকার করেছে। সড়ক নিরাপত্তা এবং পথ দুর্ঘটনা রুখতে ৬৩ ধারা বিশিষ্ট এই আইন নিয়ে এসেছে কেন্দ্রের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। যেখানে অতীতের অপরাধ ও জরিমানার সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে আরও একাধিক ধারা। বেড়েছে জরিমানাও। যেমন বিনা হেলমেটে গাড়ি চালোনা, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন ভাঙা সহ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
জরিমানা কেন এত বেশি করা হল? বৃহস্পতিবার নতুন আইনে এত বেশি জরিমানা নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী নীতীন গডকড়ী। জরিমানা বাড়িয়ে রাজস্ববৃদ্ধির কোনও বাসনা সরকারের নেই, বরং পথ দুর্ঘটনা রুখতেই যে সরকার কড়া হয়েছে তা জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী।
নীতীন গডকড়ী জানিয়েছেন, “ট্রাফিক আইন নিয়ে মানুষের কোনও ভয়ই ছিল না। মানুষ আইন নিয়ে এতটুকুও শ্রদ্ধাশীল ছিল না। সেকারণেই জরিমানা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেশি জরিমানা করে অর্থ আয়ের লক্ষ্য আমাদের নেই। মূল উদ্দেশ্য হল, ট্রাফিক আইনকে সঠিকভাবে কার্যকর করা।”
একটি পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিবছর অন্তত পাঁচ লাখ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ প্রাণ হারান। দেড় থেকে দু লাখ মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। মৃতদের ৬৫ শতাংশই ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেভাবে পথ দুর্ঘটনায় যুবকরা প্রাণ হারাচ্ছেন, তাঁদের জীবনের কি কেনও মূল্যই নেই? গডকড়ী বলেন, “আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পথ দুর্ঘটনার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনব।”