Air India Plane Crash: ইঞ্জিন ফেলিওর, নাকি অন্য কিছু, আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী? কেন্দ্রকে তদন্তের রিপোর্ট দিল AAIB
Ahmedabad Plane Crash: চলতি সপ্তাহের শেষ দিকেই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের ওই প্রাথমিক রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে বলে দিল্লি সূত্রে খবর।

নয়াদিল্লি: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল। দুর্ঘটনার একমাসের মাথায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিল বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা (AAIB). বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে জমা পড়েছে তদন্তের রিপোর্ট। তদন্তের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে যে তথ্য হাতে আসে, তার উপর নির্ভর করেই ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। (Air India Plane Crash)
চলতি সপ্তাহের শেষ দিকেই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের ওই প্রাথমিক রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে বলে দিল্লি সূত্রে খবর। প্রাথমিক রিপোর্টে ঠিক কী আছে, এখনও পর্যন্ত তা খোলসা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় তদন্তের রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। (Ahmedabad Plane Crash)
দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে অত্যাধুনিক Crash Analysis Technology-র সাহায্য়ও নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। AAIB-র তরফে এর আগে জানানো হয়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে সফল ভাবেই ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা হয় এবং সেখান থেকে তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করতে 'Golden Chassis' ব্যাকআপের সাহায্য় নেন বিশেষজ্ঞরা। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনা, হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স, বোয়িং, GE, US National Transportaion Safety Board, Air Traffic Control-এর বিশেষজ্ঞরা।
গত ১২ জুন আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটি। বিমানবন্দর ছাড়ার কয়েক সেকেন্ড পরই সেটি ভেঙে পড়ে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর। বিমানে মোট ২৪২ জন সওয়ার ছিলেন, একজন বাদে সকলেই প্রাণ হারান। বিধ্বংসী আগুনে দেহাবশেষ শনাক্ত করতেও হিমশিম খেতে হয় সকলকে। বিমানে সওয়ার যাত্রী ছাড়াও, সাধারণ মানুষেরও প্রাণ গিয়েছে।
তবে দুর্ঘনার পর পর প্রাপ্ত তথ্য দেখে, অনেকেরই মনে হয়েছে, ডাবলইঞ্জিন ফেলিওরের দরুণই ভেঙে পড়ে বিমানটি। এমনকি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে পাইলটের যে কথা হয়, তাতে ওই পাইলট জানান, বিমান আকাশে উড়ছে না কিছুতেই। তাঁরা পড়ে যাচ্ছেন। বিমানের জ্বালানির সুইচও পরীক্ষা করে দেখা হয়। ভুলবশত দুই পাইলট ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন কিনা, খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে আমেরিকার সংস্থা বোয়িংএর বিমানের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রিপোর্টটি প্রকাশ করা হলেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা সম্ভব হবে।






















