Air Canada Plane Catches Fire: রানওয়ে ছুঁয়ে হঠাৎই কাত হয়ে গেল বিমান, আগুন ধরে গেল ডানায়, এবার কানাডায়
Plane Accident News: এবার কানাডার হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা ঘটল।
টরন্টো: পর পর বিমান দুর্ঘটনায় এবার নয়া সংযোজন। অবতরণের সময় ডানায় আগুন ধরে গেল এয়ার কানাডার বিমানে। রানওয়েতে চাকা পিছলে গিয়ে হেলে যায় বিমানটি। রানওয়েতে ঘষে যায় ডানা। আর তাতেই আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি যদিও, তবে পর পর এমন ঘটনায় বিমানযাত্রা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারণ বড়দিন থেকে পর পর যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা সামনে আসছে। (Air Canada Plane Catches Fire)
এবার কানাডার হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা ঘটল। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বিমানে যাত্রীরা। এয়ার কানাডার AC2259 বিমানটি হ্য়ালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। De Havilland Canada Dash 8-400 বিমানটি পরিচালনা করছিল PAL Airlines. বিমানটির গিয়ারে সমস্যা দেখা দেয়। অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় চাকা। (Plane Accident News)
ঘটনাস্থল থেকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, সেটি বিমানে সওয়ার কোনও যাত্রীই ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রানওয়ে ধরে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে বিমানটি। আচমকা সেটি কাত হয়ে গেল একদিকে। তাতে বিমানের ডানাটির সঙ্গে রানওয়ের ঘষা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় ডানায়। সেই অবস্থাতেই দ্রুত ছুটে চলে বিমানটি।
🚨 BREAKING: Air Canada flight makes emergency landing in Halifax with broken landing gear.
— Shalini (@ShaliniCutiePe) December 29, 2024
🔥 The wing scraped the runway, sparking a fire.
🙏 Minor injuries reported among passengers and crew.
The airport is now CLOSED as emergency services investigate.
This comes… pic.twitter.com/P1RoHiedd8
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাহগ্রস্ত বিমানটির বয়স প্রায় ২৪ বছর। Pratt ও Whitney ইঞ্জিন রয়েছে বিমানে। Air Canada-র সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওই বিমানটি পরিচালনা করছিল Pal Airlines. পূর্ব কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা সেটি। নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডরের সেন্ট জন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংস্থার সদর দফতর।
এই ঘটনায় বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ বিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রক্রিয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ল্যান্ডিং গিয়ারে কী সমস্যা হল, জরুরি ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল খতিয়ে দেখা হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা দেখে আতঙ্কিত সকলে। বিমানযাত্রা আর নিরাপদ নেই বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
কানাডায় যখন এই ঘটনা ঘটল, তার কিছু ক্ষণ আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাইল্যান্ড থেকে আগত বিমান ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দরেই। ১৮১ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন বিমানে। মাত্র দু'জন জীবিত রয়েছেন। এক্ষেত্রেও ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রাথনিক তদন্ত অনুযায়ী, অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারটি কাজ করছিল না। ফলে পেটের উপর ভর করে বিমানটিকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে বিপথে গিয়ে সটান দেওয়ালে দেখা মারে বিমানটি।
গত ২৫ ডিসেম্বর আজেরবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাওয়ার পথে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী একটি বিমান। আকাশ থেকে সটান মাটিতে আছড়ে পড়ে। বিমানে সওয়ার ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৮ জন মারা যান। গোড়ায় খারাপ আবহাওয়া, যান্ত্রিক গোলযোগের সম্ভাবনা উঠে এলেও, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে পড়ে বিমানটির এমন পরিণতি হয় বলেও দাবি উঠছে।