All India Pregnant Job Service: 'মহিলাদের গর্ভবতী করতে পারলেই ১০ লক্ষ টাকা', রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, পর্দাফাঁস করল পুলিশ
Bihar News: বিহারের নওয়াদা জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

নয়াদিল্লি: একঝলকে সর্বভারতীয় স্তরের কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ নিতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এল, যা দেখে স্তম্ভিত পুলিশও। কারণ টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করার চক্রের সন্ধান মিলল। মোটা টাকার বিনিময়ে এই চক্র চলছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই ফাঁদে পা ঠকতে হয়েছে বহু মানুষকে। (All India Pregnant Job Service)
বিহারের নওয়াদা জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানকার নারদীগঞ্জ মহকুমার কহুয়ারা গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করে মোটা টাকা রোজগারের প্রলোভন দেখিয়ে দুর্নীতিচক্র চলছিল সেখানে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর নেপথ্যে আর কে বা কারা যুক্ত ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। (Bihar News)
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, All Indis Pregnant Job Service নামে ওই দুর্নীতিচক্র চালানো হচ্ছিল। সেই নিয়ে রীতিমতো প্রেজেন্টেশনও দেওয়া হতো। লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাগলাইন ছিল, 'নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করে টাকা কামাও'। ভালই পসার জমেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্দাফাঁস হয়ে গেল।
ডিজিটাল মাধ্যমেও এর প্রচার চলত। নিঃসন্তান মহিলাদের সন্তানধারণে সহায়তা করলেই মোটা টাকা রোজগার করা যাবে হলে দোখানো হতো প্রলোভন। এমনকি ব্ল্যাকমেলও করা হতো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা মিলবে বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। এমনকি কাজের কাজ না হলেও ৫০ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে বলে দেওয়া হতো আশ্বাস।
কিন্তু ওই বিজ্ঞাপন দেখে যাঁরা ছুটে যেতেন, তাঁদের ঠকানো হতো বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, টাকা রোজগারের আশায় অনেকেই ওই কাজে যোগ দেন। কিন্তু কখনও আইনি প্রক্রিয়ার নামে, কখনও আবার অন্য কোনও দোহাই দিয়ে তাঁদের কাছ থেকেই টাকা আদায় করা হতো। ওই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে ব্ল্যাকমেল করা হতো তাঁদের।
পুলিশের ডেপুটি সুপার ইমরোজ পারভেজ জানিয়েছেন, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। All India Pregnant Job Service-এর পাশাপাশি, 'প্লেবয় পরিষেবা'ও প্রদান করা হতো। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। আগ্রহীরা ফোন করলে তাঁদের প্যানকার্ড, আধার কার্ডের তথ্য, সেলফি চাইত দুষ্কৃতীরা। হোটেল বুকিংয়ের নামে ওই সব তথ্য আদায় করা হতো। ফাঁদে পা দিয়ে ফেঁসে যেতেন অনেকে। তাঁদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত দুষ্কৃতীরা।
ধৃত তিনজনকে প্রিন্স রাজা, ভোলাকুমার এবং রাহুল কুমার নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। ছ'টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, গ্রাহকদের ছবি, অডিও রেকর্ডিং, ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আরও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।






















