Rampurhat Violence: অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ ছিল ধৃত আনারুল? নির্বাচন কমিটি গঠনের ভাইরাল নথি ঘিরে বিতর্ক
Anubrata Mondal: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে কি তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে? ধৃত দাপুটে নেতা আনারুল হোসেন কার ঘনিষ্ঠ ছিল? অনুব্রত মণ্ডলের? না কি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের? এই প্রশ্ন কি ক্রমেই জটিল হচ্ছে?
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ, আশাবুল হোসেন, বীরভূম: চিঠির পরে নির্বাচন কমিটি গঠনের নথি! রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে আনারুল হোসেনকে নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ফাঁস হল বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্যাডের কপি। ভাইরাল হওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত পুরসভার ভোটের নির্বাচনী কমিটিতে ছিলেন আনারুল হোসেন। তাতে সই আছে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে কি তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে? ধৃত দাপুটে নেতা আনারুল হোসেন কার ঘনিষ্ঠ ছিল? অনুব্রত মণ্ডলের? না কি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের? এই প্রশ্ন কি ক্রমেই জটিল হচ্ছে?
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় এক সময়ের ‘সম্পদ’ আনারুল হোসেনকে কি এখন ‘দায়’বলে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে? দিনে দিনে প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আর নেপথ্যে রয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের এই প্যাডের কপি!
বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্যাডে লেখা সেই নোটিসে জ্বল জ্বল করছে সংগঠনের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সই! ভাইরাল হওয়া নোটিস ইস্যু হওয়ার তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। অর্থাৎ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনের ঠিক ২২ দিন আগের তারিখ।
ভাইরাল হওয়া এই নথিতে দেখা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের তরফে রামপুরহাট পুরসভার ভোট পরিচালনার জন্য ১২ জন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য হিসেবে সবার প্রথমে সেই আনারুল হোসেনের নাম। যিনি সেই সময় রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন
নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে এই নোটিসে দেখা যাচ্ছে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম! নীচে দেখা যাচ্ছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সই। এর আগে বৃহস্পতিবার যে চিঠি ভাইরাল হয়েছিল তাতে আগামী পঞ্চায়েত ভোট অবধি আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতির পদে রেখে দেওয়ার জন্য অনুব্রত মণ্ডলের...কাছে তদ্বির করছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
বিতর্কের আবহে এই বিষয়ে নিজের নিজের মতো করে যুক্তি খাড়া করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু, শুক্রবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্যাডের ভাইরাল হওয়া এই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে আনারুল হোসেনকে পুর-নির্বাচনের কমিটিতে রাখতে সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ অনুব্রতই!
যদিও, এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। আর গোটা বিষয়টি অনুব্রতর ওপরই চাপিয়েছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কার ঘনিষ্ঠ আনারুল হোসেন? দায় নিয়ে টানাটানি বীরভূম জেলা তৃণমূলে? তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর
রামপুরহাট পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক জানাচ্ছেন, এই যে চিঠি ভাইরাল হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, মূল ঘটনা থেকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে, সেটাই প্রমাণ করে। তৃণমূল ও পুলিশের নেক্সাসে এই ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে, তৃণমূল এভাবে চিঠি ভাইরাল করে নজর ঘোরাতে চাইছে আনারুল, অনুব্রত ও পুলিশের নেক্সাসকে। সব মিলিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।