Pakistan President : প্রত্যাবর্তন, দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি
Pakistan News: ২০০৭ সালে বেনজির ভুট্টো বোমা ও বন্দুক হামলায় নিহত হওয়ার পর সহানুভূতি ভোটে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন
ইসলামাবাদ : পাকিস্তানের নিহত প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী আসিফ আলি জারদারি দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। দুর্নীতি, অপহরণ-সহ একাধিক অভিযোগ থাকা জারদারি প্রথম দিকে বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক জীবনের 'নেপথ্য কারিগর' হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ২০০৭ সালে বেনজির ভুট্টো বোমা ও বন্দুক হামলায় নিহত হওয়ার পর সহানুভূতি ভোটে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। "মিস্টার টেন পার্সেন্ট" কুখ্যাতি রয়েছে তাঁর। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি রাবার ও স্ট্যাম্প চুক্তিতে 'ভাগ' নিতেন।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০০৮ ও ২০১৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সাংবিধানিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জারদারি। ৬৮ বছরের জারদারি দ্বিতীয় বার ওই পদে আসীন হয়ে কী পদক্ষেপ নেন সেদিকে তাকিয়ে পাকিস্তানের মানুষ। দুর্নীতির অভিযোগে ১১ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জেলে ছিলেন। পাকিস্তানের কোনও রাজনীতিকের ক্ষেত্রে যা দীর্ঘমোয়াদি। এবার জোটে চুক্তি অনুযায়ী তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে। জোটের শর্ত অনুযায়ী, জারদারির পিপিপি প্রেসিডেন্ট পদ বেছে নেন। অন্যদিকে, তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী PML-N প্রধানমন্ত্রীর পদ বেছে নিয়েছে। PML-N-এর তরফে শেহবাজ শরিফ গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। রবিবার শপথ নিতে পারেন জারদারি।
গত ৮ অক্টোবর ভোট হয়েছিল পড়শি দেশে। তাতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যদিও ইমরান খান-সমর্থিত ৯০ শতাংশ নির্দল প্রার্থীই নির্বাচনে জিতেছিলেন। ২৬৬ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বৃহত্তম আসন পিটিআই-সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাই পায়। তবে সরকার গড়ার জন্য যে সংখ্য়া দরকার, তা নির্দল বা কোনও একটি দলের প্রার্থী, কারও পক্ষে যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেনজির ভুট্টো ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ফের ১৯৯৩থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেন। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে যখন প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় তাঁকে খুন করা হয়। তাঁর হত্যা গোটা পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তার জেরে সহানুভূতি গিয়ে পড়ে পিপিপি-র উপর। তার হাত ধরে ২০০৮ সালে জয়লাভ করে দল। দল জারদারিকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করে।
২০১০ সালে যখন গোটা পাকিস্তান বন্যায় বিধ্বস্ত , যে বন্যায় প্রায় ১৮০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন, সেই সময় ইউরোপে ছুটি কাটাচ্ছিলেন জারদারি। যার জেরে তিনি দেশে সমালোচনার মুখে পড়েন।