Babul Supriyo on social Media: ফেসবুক পোস্টে কুণাল এবং দিলীপকে একযোগে আক্রমণ বাবুলের
বাবুলের আক্রমণে পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ
কলকাতা: এবার বাবুল সুপ্রিয়র ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ। ফেসবুকে বাবুল লেখেন, “কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী ‘ভাষার’ ব্যবহার করেছেন - সবটাই শিরোধার্য।...অন্তত দেখুন, এ ধরনের ‘ব্যক্তিত্ব’ বা নির্বোধদের সঙ্গে তো আর রোজ ডিল করতে হবে না!!...নিচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম... প্রথম উক্তিটির ‘সৌজন্য’ শ্রী কুণাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ...।“
ওই ট্যুইটে তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, কুণাল ঘোষের ট্যুইট সহ বিজেপি রাজ্য সভপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের অংশ তুলে ধরেছেন। গতকাল ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লেখেন, “লোকসভা চলছে। স্পিকার বসে আছেন। সেখানে ইস্তফা না দিয়ে ফেস বুকে নাটক। ছাড়ার ইচ্ছে নেই। দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মত। আসলে উনি গান করতেন। এখন নাটক করছেন।“ গতকাল ফেসবুক পোস্টে তাঁর ঘোষণা, আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও অবশ্যই ইস্তফা দেবেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি কারও ফেসবুক পোস্ট পড়ি না, ব্যক্তিগত ব্যাপার, উনি কি সাংসদ পদ থেকে রিজাইন করেছেন নাকি?”
এরপরই গতকাল রাতে ফেসবুকে কুণাল ঘোষ সহ দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের আক্রমণে পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “বাবুল বেচারির ঘুম হয়নি। ভোররাতে ফেস বুকে আমাকে আক্রমণ !! আরে, এত কথার কী আছে? আমি লিখেছি ওর ইস্তফার পোস্ট নাটক। ও স্পিকারকে ইস্তফাপত্র দিয়ে প্রমাণ করে দিক ও নাটক করেনি। নাহলে যত পোস্টই করুক, তা নাটকের চিত্রনাট্যই থাকবে। আমি কোনো অসংসদীয় শব্দ লিখিনি। নাটক ধরা পড়ায় ওর কষ্ট !” অন্যদিকে বাবুলের পোস্ট প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, "দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব বেশি, তাই লোকে আক্রমণ করে।" যদিও তাঁর দাবি, বাবুল দলেই আছেন, দলেই থাকবেন।
আসানসোলের ২ বারের সাংসদ। ২০১৪ থেকে প্রায় ৭ বছর মোদি ক্যাবিনেটের সদস্য। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সাম্প্রতিক রদবদলে বাদ পড়েন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ যাওয়ার পর থেকেই বাবুল সুপ্রিয়র একাধিক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা দানা বাঁধছিল। দলের সঙ্গে বাবুলের দূরত্ব বাড়ছে বলে গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। গতকাল ফেসবুকে পোস্ট করেন বাবুল। তিনি লেখেন, "চললাম! আলবিদা! বিজেপির সাংসদ পদও অবশ্যই ছাড়ছি!" ফেসবুকে বাবুলের ব্যাখ্যা, "সমাজসেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়!! নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই তারপর।" এরপরে জল্পনা শুরু হয় তবে কি অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন বাবুল? রাতে আরেকটি পোস্টে বাবুল লিখেছেন, "স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছি না”